<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের অটোরিকশাচালক লিটন মিয়ার চার সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় মেহেদী হাসান শুভ (১৮)। এসএসসিতে জিপিএ ৫ পাওয়া মেহেদী ভর্তি হন ডিপ্লোমা সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পুলিশের ছররা গুলি কেড়ে নিয়েছে তাঁর দৃষ্টিশক্তি। ভেঙে দিয়েছে তাঁর স্বপ্ন।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেহেদী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">১৭ জুলাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমিও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কোটবাড়ী বিশ্বরোডের সড়ক অবরোধে অংশ নিই। হঠাৎ পুলিশের ছররা গুলি লাগে আমার বুকে। আমি বসে পড়ি। পুলিশ আবার গুলি করে। এবার আমার চোখ, মুখ ও মাথায় গুলি লাগে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আমাকে একে একে কুমিল্লার দুটি বেসরকারি হাসপাতালে নেন। কোথাও রাখেনি। এরপর কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। এরপর আমাকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আমার চোখের পাঁচটি অপারেশন হয়েছে। কিন্তু দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসেনি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেহেদীর বাবা লিটন মিয়া বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ঢাকার হাসপাতালের চিকিৎসকরা অপারেশন শেষে বলেছেন, ছররা গুলিতে ছেলের ডান চোখ ৯০ শতাংশ ও বাম চোখ ৫০ শতাংশ অকেজো। চিকিৎসা নিয়মিত করতে পারলে দৃষ্টিশক্তি কিছুটা ফিরে আসতে পারে। তবে তাকে সারা জীবন ছররা গুলি শরীরে বহন করতে হবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি পেশায় একজন অটোরিকশাচালক। ছেলের চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক অটোরিকশাটি বিক্রি করে দিই। টাকা শেষ হলেও ছেলের চিকিৎসার এখনো কিছুই হয়নি।  কোনোভাবে যদি একটি অটোরিকশা আবার কিনতে পারতাম তাহলে পরিবারের ভরণ-পোষণের সমস্যার সমাধান হতো।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেহেদী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমি চাইব, এই সরকার আমিসহ সব আহত শিক্ষার্থীর উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করুক। আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সহায়তা করুক। আহতদের সুস্থতা সাপেক্ষে কর্মের ব্যবস্থা করা হোক। আর আমার যেন সেমিস্টার ড্রপ না হয়, লেখাপড়াটা আমি শেষ করতে চাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লালমাই উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আবদুর নূর বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেহেদীর চিকিৎসার জন্য জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয়েছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>