<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার মরা ছেলেটার মুখটাও আমি ঠিকমতো দেখতে পারিনি পুলিশের চাপে। আমার একটা মাত্র ছেলেকে একটু ছুঁয়েও দেখতে পারলাম না। স্বৈরাচার সরকারের পুলিশের দ্রুত দাফন করার চাপ আর তাদের হুমকি-উৎপাতে কলিজাটারে শেষবারের মতো একটু বাড়ির ভেতরেও আনতে পারলাম না। সারা জীবন আফসোস থেকে যাবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> কথাগুলো বলছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ইমতিয়াজ আহম্মেদ জাবিরের মা শিরিনা আক্তার।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার দেউলী গ্রাম। এই গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে একটি দেয়াল ঘেরা কবরস্থান। সেখানেই একটি নিমগাছের ছায়ায় চিরঘুমে শুয়ে আছেন জাবির। কবরের ওপরে ঝুলানো জাতীয় পতাকা। কবরস্থান থেকে অল্প একটু দূরেই তাঁদের বাড়ি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরিবার সূত্রে জানা যায়, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই ঢাকার রামপুরা রোডে মিছিলে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাবির। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৬ জুলাই ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় জাবিরের।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল রবিবার সকালে দেউলী গ্রামে গিয়ে কথা হয় শহীদ জাবেরের বাবা নওশের আলীর সঙ্গে। তিনি জানান, তাঁর দুই সন্তান। জাবির বড় ও মেয়ে জেরিন ছোট। অধিকার আদায়ের আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে শহীদ হয় তাঁর ছেলে। মর্গ থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে সন্তানের মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ও পুলিশ, ডিবিসহ নানা সংস্থার পরিচয়ে ফোনে বারবার নানা রকম হুমকি দেওয়া হয় তাকে। বলা হয় বাড়ি ফিরে দ্রুত লাশ দাফন করতে। বাড়ি পৌঁছাতে অনেক রাত হবে জানিয়ে তিনি পরদিন সকালে লাশ দাফন করার অনুমতি চাইলেও সে সময়টুকুও দেওয়া হয়নি। উল্টো তাঁকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, রাতেই লাশ দাফন না করলে তারাই ব্যবস্থা করবে। তখন বাধ্য হয়ে তিনি অ্যাম্বুল্যান্স থেকে ফোনে এলাকার লোকজনকে কবর খুঁড়ে রাখতে বলেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিচার চেয়ে নওশের আলী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার স্বপ্ন তো শেষ। এখন একটাই চাওয়া, আমার সন্তানসহ অসংখ্য সন্তান হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেখে যাওয়া। যে বিচার দেখে যেন আর কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>