<p style="text-align:justify">দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণায় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রশ্ন তুলে বলেছেন, ‘এখনো নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা হচ্ছে না কেন?’</p> <p style="text-align:justify">শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে কোনো দল বা গোষ্ঠীর হয়ে ভূমিকা না নিয়ে জনস্বার্থে ভূমিকা নিতে হবে। সরকারের অন্তরের কথা জনগণ শুনতে চায়।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি এও বলেন, ‘দ্রুত নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এটি তো আপনাদের অন্যতম দায়িত্ব।’</p> <p style="text-align:justify">সিপিবির আহ্বানে দেশব্যাপী ‘শোষণ-বৈষম্যবিরোধী গণতন্ত্র জাগরণ যাত্রা’ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দলটির পল্টন থানা কমিটির সভাপতি কার্তিক চক্রবর্তী। সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সিপিবির ঢাকা মহানগর কমিটির নেতা ত্রিদিব সাহা, মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সেকান্দার হায়াত ও হয়রত আলী।</p> <p style="text-align:justify">সমাবেশে রুহিন হোসেন প্রিন্স আরো বলেন, ‘বিগত সরকার মানুষকে ভোটবঞ্চিত করে উন্নয়নের গল্প শুনিয়েছে। এ কারণে ক্ষমতা ধরে রাখতে তাকে দিন দিন স্বৈরাচারী-কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠতে হয়েছে। এখনো সংস্কারের গল্প শোনানো হচ্ছে, অথচ গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় দৃশ্যমান কোন ভূমিকা নেওয়া হচ্ছে না।’ তিনি অবিলম্বে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের আলোচনা শুরুর আহ্বান জানান।</p> <p style="text-align:justify">সমাবেশে সিপিবি নেতারা বলেন, স্বৈরাচারী-ফ্যাসিবাদী শাসক উচ্ছেদ হলেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না, ব্যবস্থা বদল হয় না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থা বদল ছাড়া মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা, শোষণ বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়া যাবে না। এটি করতে প্রয়োজন নীতিনিষ্ঠ রাজনৈতিক শক্তি, জনগণের সচেতনতা ও চলতি ব্যবস্থার পরিবর্তন। সিপিবি ও বামপন্থীরাই পারে এই কাজকে এগিয়ে নিতে।</p> <p style="text-align:justify">তারা আরো বলেন, সাধারণ মানুষের আয় বাড়েনি, অথচ নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ অসহায় হয়ে পড়েছে। কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে চলেছে। সার, কীটনাশক, ডিজেল, বিদ্যুৎ, পানির মূল্যবৃদ্ধি উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে তুলেছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্য সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাতে বন্দি। তারাই অন্যায্য মূল্য নির্ধারণ করে সাধারণ জনগণের পকেট ফাঁকা করে নিজেদের পকেট মোটা করে। এ অবস্থার অবসান ঘটাতে পুরো ব্যবস্থা বদল করতে হবে। উৎপাদন মূল্য কমাতে হবে, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। উৎপাদক সমবায় ও ক্রেতা সমবায় গড়ে তোলা এবং সারা দেশে রেশনব্যবস্থা ও ন্যায্য মূল্যের দোকান চালু করতে হবে।</p> <p style="text-align:justify">সমাবেশ শেষে নিত্যপণ্যের দাম কমানো, জনজীবনে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও নির্বাচন ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দৃশ্যমান কার্যক্রম শুরু এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিকে সামনে রেখে পল্টন মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় পথসভা ও গণসংযোগ করেন সিপিবি নেতাকর্মীরা।</p>