<p style="text-align:justify">ভারতের পশ্চিমবঙ্গের আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা বেশ নাড়া দিয়েছিল। সেই ঘটনার বিচার দাবিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা ভারত। এবার ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, আরজি কর-কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় জেলের মধ্যে অঝোরে কেঁদেছেন।</p> <p style="text-align:justify">হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলের ভেতর দমবন্ধ হয়ে আসছে সঞ্জয়ের, কারাগারের চার দেয়ালের বাইরেও শ্বাস নিতে চান তিনি। হত্যা ও ধর্ষণে অভিযুক্ত সঞ্জয় এমন আবদার করেছেন কারারক্ষীদের কাছে। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি কারাগারে আছেন তিনি।</p> <p style="text-align:justify">জেল সূত্রের বরাতে হিন্দুস্তান টাইমস বলেছে, গত মঙ্গলবার নিজের সেলে বসে কাঁদছিলেন সঞ্জয় রায়। তখন সেখানে হাজির হন এক কারারক্ষী। সঞ্জয় কেন কাঁদছেন, তা জানতে চান তিনি। জবাবে সঞ্জয় বলেন, ‘জেলের ভেতর দম বন্ধ হয়ে আসছে। জেলে থাকতে ভালো লাগছে না। জেল কর্তৃপক্ষ সব আবেদন খারিজ করে দিচ্ছে। আমার স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরা করার অভ্যাস। এভাবে কি বেঁচে থাকা যায়? দুশ্চিন্তায় রাতে ঘুম আসছে না।’</p> <p style="text-align:justify">সঞ্জয়ের কান্না থামাতে কয়েকজন জেলকর্মী সেখানে হাজির হন। তারা বুঝিয়ে সঞ্জয়কে খাবার খেতে বলেন। অবশেষে খাবার মুখে নেন সঞ্জয়।</p> <p style="text-align:justify">আরজি কর-কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কলকাতা পুলিশের চতুর্থ ব্যাটালিয়নের ব্যারাক থেকে গ্রেপ্তার হন সঞ্জয় রায়। গত ১৪ আগস্ট তাকে হেফাজতে নেয় সিবিআই। ২৩ আগস্ট তাকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। তখন থেকে ২ মাসের বেশি সময় প্রেসিডেন্সি জেলের চার দেয়ালের বাইরে বের হওয়ার সুযোগ হয়নি সঞ্জয়ের। অভিযুক্তের সুরক্ষা বিঘ্নিত হতে পারে, এমন আশঙ্কায় জেল থেকেই ভার্চুয়ালি আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন তিনি।</p> <p style="text-align:justify">আইনজীবীদের মতে, সঞ্জয়ের মৃত্যুদণ্ডের সাজা হওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র। নিম্ন আদালত ফাঁসির সাজা শোনালেও সব প্রক্রিয়া শেষ করে ভারতে একজনের ফাঁসি হতে অন্তত ৫ বছর লেগে যায়। তত দিন জেলেই থাকতে হবে সঞ্জয়কে।</p>