<p>বগুড়া সদরের কলোনি এলাকায় পাখির প্রতি ভালোবাসা দেখিয়ে আলোচনায় এসেছেন চা বিক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক। প্রতিদিন তিনি পাখিদের নানা ধরনের খাবার দেন। তাঁর দোকানের সামনে ভিড় করা হাজারো পাখির কিচিরমিচির শব্দে এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। রাজ্জাকের চা দোকানের পাশে এ দৃশ্য এখন নিত্যদিনের। গোধূলির রং ডানায় মেখে পাখিগুলো যে যার মতো আশ্রয় নেয় আশপাশের গাছগাছালি, বাঁশঝাড় ও কচুরিপানায়। পাখির এই কলতান দেখতে প্রতিদিন মানুষ ভিড় করে সেখানে। দিন শেষে আবার ফিরে যায় নিরাপদ স্থানে।</p> <p>আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘প্রতিদিন খাবার খেতে ছুটে আসে শত শত দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন ধরনের পাখি। এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আসে শালিক পাখি। এভাবে পাখির প্রতি আমার ভালোবাসা তৈরি হয়েছে। ওদের সঙ্গে আমার সখ্য গড়ে উঠেছে। ছোটবেলা থেকেই আমি পাখিদের অনেক ভালোবাসি। এই পাখিদের প্রতিদিন নিজের বানানো খাবার তিনবার খেতে দিই।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘হাজার হাজার পাখি খাবারের জন্য গাছের ডালে অপেক্ষা করে। খাবার দেওয়া মাত্রই ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি গাছ থেকে মাটিতে নেমে খাবার খায়। এরপর দিন শেষে নীড়ে ফিরে যায়। পাখিদের প্রতি এমন ভালোবাসা দেখে সবাই মুগ্ধ।’</p> <p>কলোনি এলাকার বাসিন্দা লতিফ কামাল বলেন, ‘চা বিক্রেতা রাজ্জাক যে কাজটি করছেন, তা একটি ভালো কাজ। পাখিদের প্রতি আমাদের অগাধ ভালোবাসা সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের দেশীয় প্রজাতির পাখি বিলুপ্তির পথে। এর কারণ হচ্ছে পাখির প্রতি মানুষের আন্তরিকতার অভাব। আমাদের প্রত্যেকেরই মানবপ্রেমের পাশাপাশি পাখিপ্রেমিক হতে হবে।’</p> <p> </p>