<p>নরসিংদীর রায়পুরায় প্রতিপক্ষের কিল-ঘুষি ও লাথির আঘাতে মো. আব্দুল্লাহ (৪৯) নামে এক পল্লী চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাত পৌনে ১০টায় উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নের দিঘলিয়াকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। </p> <p>নিহত আব্দুল্লাহ ওই এলাকার মৃত আব্দুস সামাদের ছেলে এবং পেশায় পল্লী চিকিৎসক ছিলেন।</p> <p>পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি পাশে আয়োজিত ব্যাটমিন্টন খেলা উপভোগ করছিলেন পল্লী চিকিৎসক আব্দুল্লাহর ছোট ছেলে সজীব। খেলার মাঠে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে সজীব ও একই এলাকার আলী হোসেনের ছেলে আনোয়ারের বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে উভয় পক্ষ বাড়িতে ফিরে যান। রাত পৌন ১০টার দিকে আনোয়ার ও তার ১০ থেকে ১৫ অনুসারী মিলে পল্লী চিকিৎসক আব্দুল্লাহর ওপর হামলা চালাই। ওই সময় তাদের কিল-ঘুষি, লাথি ও টর্চলাইটের আঘাতে আহত হন তিনি। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।</p> <p>নিহতের ছেলে রাসেল মিয়ার অভিযোগ, খেলার মাঠে আমার ভাইকে লাথি মারে আনোয়ার। তারপর আবার বাড়িতে এসে আমার বাবা ও ভাইদের ওপর হামলা চালাই। তাদের কিল-ঘুষি, লাথি ও টর্চলাইটের আঘাতে আমার বাবার মারা গেছে। স্থানীয় এক ইউপি মেম্বার, আলী হোসেন ও লিটন মিয়া আগে থেকেই আমার পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। আজকের ঘটনা এবং পূর্বশক্রতার জের ধরেই আমার বাবাকে হত্যা করেছে তারা।</p> <p>এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আনোয়ার ও তার পরিবারের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর তারা আত্মগোপনে চলে গেছেন।</p> <p>রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জব্বার কালের কণ্ঠকে মুঠোফোনে জানান, নিহতের শরীরে কিল-ঘুষির দাগ আছে। হামলাকারীরা স্থানীয় এক ইউপি মেম্বারের অনুসারী বলে জানা গেছে। মরদেহ সুরতহাল শেষে মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।</p>