<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পদে মনোনীত কূটনীতিক ডেভিড মিলির শুনানি প্রক্রিয়া ঝুলে আছে। মনোনয়নের প্রায় ছয় মাস পরও রাষ্ট্রদূত পদে তাঁর মনোনয়ন সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটি তা অনুমোদন করেনি। আগামী মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেই নির্বাচনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাঁর রাষ্ট্রদূত পদে মনোনয়ন চূড়ান্ত করার প্রসঙ্গ আসতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হোয়াইট হাউসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে ডেভিড মিলিকে মনোনয়ন দেন গত ৯ মে। ওই মনোনয়ন চূড়ান্ত করার জন্য সেদিনই ওই প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে পাঠানো হয়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সিনেট সেই মনোনয়নের প্রস্তাব গ্রহণ করে এবং তা বিবেচনার জন্য সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে পাঠায়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রীতি অনুযায়ী সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে মনোনীত রাষ্ট্রদূতের বিষয়ে শুনানি হওয়ার কথা। সেখানে মনোনীত রাষ্ট্রদূতও তাঁর অগ্রাধিকার ও লক্ষ্যগুলো নিয়ে বক্তব্য দেন এবং সিনেটরদের প্রশ্নের জবাব দেন। ডেভিড মিলিকে মনোনয়নের বিষয়ে এখনো শুনানি হয়নি। সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে অনুমোদন ও সুপারিশের ভিত্তিতে সিনেট কোনো মনোনয়নের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে থাকে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওয়াশিংটন ডিসির একটি সূত্র জানায়, ডেভিড মিলিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার এক সপ্তাহ পরই সিনেট কমিটিতে অন্য একটি শুনানির সময় একজন সিনেটর ওই মনোনয়ন নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সিনেটের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির র্যাংকিং সদস্য জিম রিশ সেদিন বলেছেন, গত বছর নভেম্বরেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, কভিড-১৯ মহামারির সময় চীনে যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিকরা ভয়ংকর আচরণের শিকার হয়েছেন। এর সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল এমন কোনো ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হলে তিনি সমর্থন করবেন না। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জিম রিশ উল্লেখ করেন, কভিড মহামারির সময় চীন কর্তৃপক্ষ আমেরিকান কূটনীতিকদের সঙ্গে কতটা বাজে আচরণ করেছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর যে তাদের সুরক্ষা দিতে পারেনি তা তিনি অনেকবার সিনেট কমিটিকে বলেছেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জিম রিশ সেদিন আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে গত নভেম্বরে পাঠানো তাঁর চিঠি সম্ভবত কেউ পড়েননি। কারণ ওই চিঠিতে সে সময় বেইজিংয়ে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস প্রধানের দায়িত্বে থাকা ডেভিড মিলির নাম ছিল। আর তাঁকেই প্রেসিডেন্ট বাইডেন বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পদে মনোনয়ন দিয়েছেন! </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ওয়াশিংটন থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পদে মনোনীত কূটনীতিক ডেভিড মিলির শুনানি পর্ব এখনো ঝুলে আছে। আগামী মঙ্গলবার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। এরপর নতুন প্রেসিডেন্ট আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর প্রশাসন সাজানোর প্রক্রিয়া শুরু করবেন। এ ক্ষেত্রে নতুন প্রশাসন বাইডেন মনোনীত রাষ্ট্রদূত ডেভিড মিলির মনোনয়নপ্রক্রিয়া চূড়ান্ত করবে না কি নতুন কাউকে মনোনয়ন দেবে তা নিশ্চিত নয়।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ রাষ্ট্রদূত পিটার হাস গত জুলাইয়ে আকস্মিকভাবে চাকরি ছেড়েছেন। এর পর থেকে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের মিশন উপপ্রধান হেলেন লাফেভ </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স (সিডিএ)</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তিনিও এখন বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিচ্ছেন। তবে গত আগস্টের শেষ দিকে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের মিশন উপপ্রধান হিসেবে এসেছেন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক মেগান বোলডিন। এর আগে তিনি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ২৪/৭ ব্যুরো অব ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড রিসার্চ ওয়াচের পরিচালক ছিলেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পদটি আগামী কয়েক মাস ফাঁকা থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে মিশন উপপ্রধান ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত দূতাবাসের নেতৃত্ব দেবেন।  </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এদিকে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ি চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হেলেন লাফেভ গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই সাক্ষাতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের একটি চিঠি অধ্যাপক ইউনূসের কাছে হস্তান্তর করেন। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হেলেন লাফেভ ড. ইউনূসকে বলেছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলাদেশ সফর করবেন। দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করাই সফরগুলোর লক্ষ্য। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>