<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আওয়ামী লীগসহ ১১টি রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ এবং বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের প্রাপ্ত সুবিধা পুনরুদ্ধারের নির্দেশনা চেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন সমন্বয়কের করা দুটি রিট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গণতন্ত্রের উত্তরণ এবং দেশের সার্বিক মঙ্গলের কথা চিন্তা করে আবেদনকারীরা রিট দুটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে মনে করছেন আবেদনকারীদের আইনজীবী আহসানুল করিম। গতকাল মঙ্গলবার তিনি এ কথা জানান। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, সিপিবিসহ (বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি) ১১টি রাজনৈতিক দলকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা ও এসব দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয় গত রবিবার। সোমবার বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট দুটি শুনানির জন্য উত্থাপন (ম্যানশন) করেন রিটকারী পক্ষ। হাইকোর্টের এই বেঞ্চে দায়িত্বরত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ কোনো বেঞ্চে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে এই বেঞ্চ রিট আবেদন দুটি আউট অব লিস্ট (কার্যতালিকা থেকে বাদ) করে দেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পরে রিটকারীদের আইনজীবী আহসানুল করিম বলেছিলেন, রিটে কিছু বিষয় ভুল আছে। ভুলগুলো সংশোধন করে বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে। এর মধ্যে তিন সমন্বয়কের এমন রিট নিয়ে সমালোচনার মধ্যে সোমবার বিকেলে রিট আবেদনকারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. সারজিস আলমও রিট সংশোধনের ইঙ্গিত দেন। এদিন রাজধানীর বিজয়নগরে এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা এমনভাবে রিট করব যে পুরো বাংলাদেশের মানুষ সব সময় তার সাক্ষী দেবে। ওই রিটের এডিট থেকে শুরু করে যা কিছু রয়েছে, তা কমপ্লিট (সম্পূর্ণ) করে হয়তো মঙ্গলবার বা সর্বোচ্চ হলে বুধবারের মধ্যে আমরা বিষয়টি গণমাধ্যমের সামনে নিয়ে আসব।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> এমন আলোচনার মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার রিট দুটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যখন কোনো আইনজীবীর কাছে মামলা আসে, তখন যিনি মামলাটা করেন তার কিছু নির্দেশনা থাকে। আইনজীবী শুধু মামলাটা আদালতে উপস্থাপন করেন। মামলায় বক্তব্য থাকে আবেদনকারীর। ঠিক একইভাবে মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশনাও আসে মামলার আবেদনকারীর পক্ষ থেকে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">কী কারণে রিট আবেদন দুটি প্রত্যাহার করা হয়েছে, জানতে চাইলে এই আইনজীবী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মক্কেল কখনো বলেন না, তিনি বা তাঁরা কী কারণে মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে আমি বলতে পারছি না, তাঁরা কিসের ভিত্তিতে এই মামলা চালাতে চাচ্ছেন না। তবে এটি বোঝা যায়, গণতন্ত্রের সার্বিক উত্তরণ এবং দেশের সার্বিক মঙ্গলের জন্যই তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আরেক প্রশ্নে আহসানুল করিম বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মামলা (রিট আবেদন) প্রত্যাহার করে নেওয়ার মানে হচ্ছে, মামলাটি আর চলছে না। কার্যতালিকা থেকেও বাদ হয়ে যাবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রিটে বিবাদী করার ক্ষেত্রে ভুল ছিল উল্লেখ করে জ্যেষ্ঠ এই আইনজীবী বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রিটে যে ১১টি দলের নাম ছিল, সেখানে ভুলক্রমে কিছু নাম চলে এসেছে। আবার কিছু নাম বাদও পড়েছে। সেটি সংশোধনের প্রয়োজন ছিল। যদি মামলাটি চলত তবে ওই নামগুলো বাদ যেত এবং যে নামগুলো বাদ পড়েছিল সেগুলো যুক্ত করা হতো।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রিট দুটিতে আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন, পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআরটিএ) বিবাদী করে তাঁদের প্রতি কিছু নির্দেশনা ও রুল জারির আরজি জানানো হয়েছিল। এ ছাড়া বিবাদী করা হয় আওয়ামী লীগ ও দলটির জোটসঙ্গী রাজনৈতিক দলগুলোকে। সেসব দলের সঙ্গে ছিল বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নামও। যদিও দেশের প্রাচীন এই বামপন্থী দলটি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে ছিল না। আবার রাশেদ খান মেননের ওয়ার্কার্স পার্টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ন্যাপ (মোজাফফর), গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি ও শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল ১৪ দলীয় জোটের থাকলেও রিটে এই দলগুলোকে বিবাদী করা হয়নি। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p> <p style="text-align:left"> </p>