<p>চাঁদপুর শহরের কিশোর গ্যাং ঠেকাতে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। থানা পুলিশের সঙ্গে ডিবি এবং জেলা পুলিশ লাইন্স থেকেও এই অভিযানে অংশ নিয়েছে শতাধিক সদস্য। জেলা শহরে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে কিশোর গ্যাংয়ের দৌরাত্ম্য। তাদের হাতে থাকে ধারাল সেই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র। এতে ভয় আর আতঙ্কে শহরবাসী। কিন্তু এবার সেই বেপরোয়া কিশোরদের লাগাম টেনে ধরতে এবার মাঠে নেমেছে পুলিশ।</p> <p>প্রতিদিন সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই শুরু হয় কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত। শহরের হাসান আলী স্কুল মাঠ ও তার আশপাশ। আবার ডাকাতিয়া নদীর পাড়ের মুখার্জিঘাট কিংবা প্রেস ক্লাবের পেছনের মাঠ। বাদ পড়ে না বড়স্টেশন এলাকাও। নিজেদের মধ্যে কিংবা প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে শুরু হয় ধারাল সেই দেশীয় অস্ত্রের মহড়া। এতে ঝরে রক্তপাত। কিন্তু লাগাম ছাড়া সেই কিশোর গ্যাং। তবে এবার তাদের প্রতি চোখ পড়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।</p> <p>তাই শুরু হয় কিশোর গ্যাং ধরার পালা। থানা পুলিশের সঙ্গে গোয়েন্দা পুলিশ। সঙ্গে যোগ দেয় পুলিশ লাইন্সের আরো সদস্য। তবে পুলিশ নেমেছে মাঠে। তার এমন খবরে অস্ত্রধারী সেই কিশোর গ্যাং হাওয়া। এরইমধ্যে পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্র উদ্ধার সঙ্গে অভিযানে ধরাও পড়েছে কেউ কেউ। </p> <p>শহরের কিশোর গ্যাং ঠেকাতে এবং জনমনে স্বস্তি ফেরাতে এমন উদ্যোগ। জানালেন, অভিযানে অংশ নেওয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ পুলিশ কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত সজীব। তিনি আরো জানান, সংঘবদ্ধ কিংবা একা। বিনা প্রয়োজনে সন্ধ্যার পর ঘোরাফেরা এমন কিশোরের দিকে নজর থাকবে পুলিশের। </p> <p>অন্যদিকে, চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব জানান, বর্তমান পরিস্থিতিতে জিরো টলারেন্স নীতিতে থাকবে পুরো পুলিশ বাহিনী। সাধারণ মানুষের আস্থা এবং স্বস্তি। এই নিয়ে নতুন করে পথ চলতে চায় পুলিশ। তাই কিশোর গ্যাংসহ সব ধরনের অপরাধ, অরাজকতা, চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে চাঁদপুরে পুলিশ থাকবে জনগণের পাশে। এই জন্য সমাজে শান্তিপ্রিয় সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন জেলা পুলিশের শীর্ষ এই কর্মকর্তা।</p> <p>মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযানে পুলিশের জালে ২৫ কিশোর। তারমধ্যে মাদকসহ দুজন। আর অভিভাবকের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ছাড়া পেল ২৩ জন। গত ২ মাস আগে শহরের ষোলঘর এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় আরেক কিশোর নিহত হয়।</p>