<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একসময় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণে হাসি ফুটেছিল মানুষের মুখে। আজ সেই বাঁধের ভেতরের জলাবদ্ধতায় তা এখন গলার কাঁটা। বন্যা ও প্লাবনের হাত থেকে কৃষিজমি ও বসতবাড়ি রক্ষার লক্ষ্যে নির্মাণ করা হয় চাঁদপুর সেচ প্রকল্প। কিন্তু বন্যামুক্ত হওয়ায় প্রকল্প অভ্যন্তরের নিচু এলাকায় গড়ে ওঠে রাস্তাঘাটসহ নানা ধরনের অপরিকল্পিত অবকাঠামো। শুধু তা-ই নয়, পানি নিষ্কাশনের সেচ খালগুলোও রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে ভারি বৃষ্টিপাতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতায় তলিয়ে থাকে প্রকল্পের বেশির ভাগ এলাকা। ফলে চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার ১০০ কিলোমিটার বাঁধ অভ্যন্তরের এই প্রকল্পটি এখন স্থানীয়দের জন্য দুর্ভোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">চাঁদপুর সদরের উত্তর রঘুনাথপুরের বাসিন্দা বৃদ্ধ নিজাম উদ্দিন। তিনি বলেন, ফরিদগঞ্জের কেরোয়া ও মিরপুর গ্রামকে বিভাজন করেছে রমুর খাল। সেই খালে একাধিক বাঁধ দিয়ে তাতে মাছ চাষ করা হচ্ছে। ফলে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ওই এলাকার রাস্তাঘাট, বসতবাড়িসহ সব কিছু তলিয়ে যায়। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসী জানায়, বিগত বছরগুলোতে কমবেশি বৃষ্টিপাত হলেও এবারের চিত্র উল্টো। সংস্কার আর প্রতিবন্ধকতা দূর না করায় দফায় দফায় ভারি বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট এমন জলাবদ্ধতা দূর হয়নি গত দুই মাসেও। এতে চরম দুর্ভোগে স্থানীয় বাসিন্দাসহ কৃষকরা। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সমস্যাটি দূর করতে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণের ফলে সৃষ্টি হয়েছে এমন জনদুর্ভোগ। তা স্বীকার করেছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (পওর) জহুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য রয়েছে দুটি স্লুইস গেট। তা দিয়ে দিনরাত বাড়তি পানি বাইরে ফেলা হচ্ছে। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে ভারি বৃষ্টিপাতের সেই পানি সরিয়ে নিতে কিছুটা ধীরগতি হচ্ছে। তবে আগামী কিছুদিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মুহসীন উদ্দিন। তিনি বলেন, নতুনভাবে রাস্তাঘাট, সেতু-কালভার্ট এবং কৃষিজমি নষ্ট করে বসতবাড়ি নির্মাণের বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকবে সরকারি প্রশাসন। যাতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না হয়, তার জন্য নীতিমালা তৈরি করে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>