<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইসরায়েলের বিমানবন্দর ও ডিমোনা এলাকার পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্রের মতো স্পর্শকাতর কৌশলগত স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। এসব ক্ষেপণাস্ত্রের বেশির ভাগ আকাশেই ধ্বংস করে দেওয়া হলেও এই ঘটনাকে সংঘাতের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হিসেবে বিবেচনা করছে ইসরায়েল। এই ঘটনার পর ইরান-ইসরায়েল একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে। দুই দেশের এই পাল্টাপাল্টি হুমকির ঘটনায় দীর্ঘদিন ধরেই মধ্যপ্রাচ্যে যে আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা করা হচ্ছিল, তা বাড়িয়ে তুলেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তবে দুই দেশের প্রতিক্রিয়া যা-ই হোক না, সেটির প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী। বিশ্লেষকদের মতে, মধ্যপ্রাচ্য তো বটেই দুয়ারে কড়া নাড়তে থাকা মার্কিন নির্বাচনে পর্যন্ত দুই দেশের সংঘাতের আঁচ লাগতে পারে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যুদ্ধের সমর্থন নিয়ে ইসরায়েল স্থানীয় সময় মঙ্গলবার গভীর রাতে চালানো ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কড়া জবাব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে ইরানও চুপ করে বসে নেই। ইসরায়েল কোনো প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করলে আরো </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কঠোর</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে তেহরান। ইরান আরো বলেছে, ইসরায়েল যদি পাল্টা হামলা চালায়, তাহলে ইসরায়েলের সব অবকাঠামোর ওপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইসরায়েলের সহযোগীরা, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ইসরায়েলের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত থাকবে। জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে এবং জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিবিসির সিকিউরিটি করেসপন্ডেন্ট ফ্রাংক গার্ডনার লিখেছেন, ইরান চলতি বছরের এপ্রিলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর পর ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সহযোগীরা দেশটিকে যেভাবে ধৈর্যধারণের আহ্বান জানিয়েছিল, এবার সে রকম হওয়ার সম্ভাবনা কম।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইসরায়েলের এখনকার কৌশল হলো একসঙ্গে দুইভাবে অগ্রসর হওয়া</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">হত্যা, বিমান হামলা ও প্রতিরোধ, যার মাধ্যমে ইরান ও ছায়া শক্তিগুলোকে বুঝিয়ে দেওয়া যে ইসরায়েলে আঘাত করলে আরো বেশি শক্তির মুখোমুখি হতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ইরানে হামলার জন্য দীর্ঘদিনের একটি পরিকল্পনা ইসরায়েলের হাতে থাকবে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাপ্রধান এখন পর্যালোচনা করে দেখবেন, কখন ও কিভাবে ইসলামী প্রজাতন্ত্রটিতে আঘাত করবেন। এর মধ্যে অবশ্যম্ভাবী সামরিক লক্ষ্যবস্তু হবে স্থলভাগে যেখান থেকে মঙ্গলবারের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়েছে। তাই ফায়ারিংয়ের জন্য ক্ষেপণাস্ত্র যেখানে রাখা হয়েছে শুধু সেই জায়গা নয় বরং কমান্ড ও কন্ট্রোল সেন্টার, এমনকি রিফুয়েলিং সেন্টারগুলোও এর আওতায় থাকবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এমনকি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্দেশ দিয়েছে যারা এবং যারা এটি পরিচালিত করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ইরানের অভ্যন্তরেই গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়াতে পারে ইসরায়েল। আর যদি দেশটি আরো বেশি কিছু করতে চায়, তাহলে তারা ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে টার্গেট করতে পারে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তবে ইসরায়েল যে পথেই অগ্রসর হোক তাতে ইরানের পাল্টা হামলা অবশ্যম্ভাবী হয়ে উঠবে এবং এর মাধ্যমে দেশ দুটি হামলা ও প্রতিশোধে চিরস্থায়ী এক চক্রে আবদ্ধ হয়ে পড়বে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চলতি বছরের এপ্রিলে ইসরায়েল যেভাবে ইরানের হামলার জবাব দিয়েছিল, তার চেয়ে এবার আরো অনেক বেশি শক্তি নিয়ে আক্রমণ করতে প্রলুব্ধ হবে দেশটি। ওই সময় ইসরায়েলকে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ থেকে বিরত রাখতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার পরও দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার পর তিন শর মতো ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ইসরায়েলকে টার্গেট করে ছুড়েছিল ইরান।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শেষ পর্যায়ে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার কাছে ছোট পরিসরে হামলা করেছিল। এতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল কম, কিন্তু ইরানকে তারা বুঝিয়ে দিয়েছিল চাইলে তারা কোথায় পৌঁছাতে পারে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এবার হয়তো এর থেকে ভিন্ন হবে পরিস্থিতি। ইসরায়েল সাম্প্রতিক সময়ে ওই অঞ্চলজুড়ে নিজেদের কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে শত্রু ও হুমকিগুলো নিশ্চিহ্ন করবে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির পাশাপাশি গাজায় শান্তি ফেরানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত সপ্তাহে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে লেবাননে যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য ফ্রান্সের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রচেষ্টাও আলোর মুখ দেখেনি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গত বছরের ৭ অক্টোবর বাইডেন প্রশাসন চলমান সহিংসতাকে আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ না দেওয়ার জন্য নিজেদের কৃতিত্ব রয়েছে বলে দাবি করে আসছে। অবশ্য তাদের দাবি এখন পর্যন্ত কেবল ফাঁকা বুলি হিসেবেই রয়ে গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">চলতি বছরের এপ্রিলে ইরান যখন প্রথমবার ইসরায়েলে হামলা করে, তখন যুক্তরাষ্ট্র নেতানিয়াহুকে সংযমের আহ্বান জানিয়েছিল। তবে এবারের হামলার পর ওয়াশিংটনের সেই নমনীয় সুর শোনা যায়নি। বরং ইসরায়েলে সরাসরি সামরিক হামলার জন্য ইরানকে </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">কঠোর পরিণতির</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> হুমকি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে জোর দিয়েছে। তাই এবারের হামলার পর নেতানিয়াহুর কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে তেমন বাধা নেই বলেই মনে হচ্ছে। ফলে চলমান অস্থিরতা আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা আরো তীব্র হচ্ছে। সূত্র : আলজাজিরা, বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান</span></span></span></span></span></p> <p> </p>