<p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজনৈতিকভাবে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তর প্রদেশে। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৮০টি আসন এই জনবহুল রাজ্যে। কথিত আছে, উত্তর প্রদেশে যারা বেশি ভোট পায়, তারাই কেন্দ্রে সরকার গঠন করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সাল থেকে এই রাজ্যে আধিপত্য ধরে রেখেছে বিজেপি। তবে এবার চিত্র পাল্টে গেছে। প্রাথমিক ফলাফলে দেখা গেছে, বিজেপির এনডিএ জোট জিতেছে ৩৬টি আসনে, যা ২০১৪ ও ২০১৯ সালে ছিল যথাক্রমে ৭১টি ও ৬২টি। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">অন্যদিকে ইন্ডিয়া জোটের সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেস ৪৩টি আসনে জয় পেয়েছে। এবার তাদের উত্থানের পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশে বেশি আসন পাওয়া সমাজবাদী পার্টির উত্থানের পেছনে অন্যতম কারণ হলো আসন বণ্টনের কৌশল। এবার দলটি প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ভিন্ন পথে হেঁটেছে, যাদবদের চেয়ে অন্যান্য অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর (ওবিসি) প্রার্থীদের মনোনয়ন দিয়েছে। দলীয় প্রধান অখিলেশ যাদবের পরিবারের পাঁচজনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, অন্যদিকে ২৭টি আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ওবিসিদের। উচ্চ বর্ণের প্রার্থীদের দেওয়া হয়েছে ১১টি আসন।  মুসলিমরা চারটি এবং সংরক্ষিত আসনে ১৫টি টিকিট পেয়েছে দলিত সম্প্রদায়ের লোকজন। এ ছাড়া কিছু আসনে প্রার্থীও পরিবর্তন<br /> করেছিল দলটি। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">গত লোকসভা নির্বাচনে মায়াবতীর বিএসপি ও আরএলডির সঙ্গে জোট বেঁধে ৮০টি আসনের মধ্যে ৩৭টিতে প্রার্থী দেয় সমাজবাদী পার্টি। এর মধ্যে যাদবদের দেওয়া হয় ১০টি আসন। নির্বাচনে মোট পাঁচটি আসনে জয় পায় সমাজবাদী পার্টি এবং শরিক বিএসপি পায় ১০টি আসন। অন্যদিকে বিজেপি ৬২টি আসনে জয় পায়। আর এনডিএ জোটের শরিক আপনা দল পায় দুটি আসন।</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টির এগিয়ে থাকা প্রসঙ্গে দলের এক নেতা বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.1pt">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">যাদব ও মুসলিমদের সমর্থনের বিষয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না। তবে আমরা ওবিসি ও দলিত সম্প্রদায়ের কাছে পৌঁছাতে চেয়েছিলাম, যা সফল হয়েছে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="letter-spacing:-.1pt">’</span></span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্যদিকে এবার ৭৫টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে বিজেপি আর তিন শরিক পেয়েছে পাঁচটি আসন। এর মধ্যে উচ্চ বর্ণের প্রার্থীদের ৩৪টি আসন দিয়েছে বিজেপি। এ ছাড়া ওবিসিদের ২৫টি আসন দেওয়া হয়েছে, যার একজন যাদব। বাকি ১৬টি সংরক্ষিত আসন। এ ছাড়া দুই জোটের প্রচারণার কৌশলে ছিল বিস্তর ফারাক। নির্বাচনের আগে বিশাল জনসভায় প্রাধান্য দিয়েছে বিজেপি। এসব আয়োজনে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের মতো রাজনীতিকরা। তবে ছোট শহর বা গ্রামের দিকে খুব একটা নজর দেয়নি বিজেপি।অন্যদিকে প্রচারণার মাধ্যমে তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে ইন্ডিয়া জোট। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র রাইবেরিলি ও আমেথিতে নীরবে প্রচারণা চালিয়ে গেছেন, কোনো বড় সমাবেশ করেননি। দৈনিক ২০টিরও বেশি জনসচেতনতামূলক সভা করেছেন তিনি। </span></span></span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="text-autospace:none"><span style="vertical-align:middle"><span style="line-height:115%"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.1pt">প্রাথমিক ফলাফলের পর ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে অখিলেশের সমাজবাদী পার্টি। বিজেপির আসনসংখ্যা কমে যাওয়া প্রসঙ্গে বিশ্লেষকরা বলছেন, এবারের নির্বাচনে অন্যতম আলোচিত বিষয় ছিল অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণ। আশির দশক থেকে সেখানে রামমন্দির নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছে দলটি। অবশেষে চলতি বছর সেই প্রতিশ্রুতি পূূরণ করে মোদির দল। বিজেপি সমর্থকরা ভেবেছিলেন এই রামমন্দির লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারক হবে। তবে অযোধ্যায় বিজেপির প্রার্থী লাল্লু সিং হারের পথে রয়েছেন। এ ছাড়া এই আসনের পাশের সাতটি আসনের মধ্যে মাত্র দুটিতে এগিয়ে ছিল বিজেপি। তাই বিজেপির এই কৌশল কার্যত কাজে লাগেনি।<br /> সূত্র : দ্য ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস, এনডিটিভি</span></span></span></span></span></span></span></span></p>