<p style="text-align:justify">রাশিয়াকে চীনের অস্ত্র দেওয়ার বিষয়টি জার্মানি মেনে নেবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ। ব্রাজিলে জি২০ শীর্ষ বৈঠকের সাইডলাইনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে আলোচনায় তিনি একথা বলেন।</p> <p style="text-align:justify">দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক আর্থিক ও বাণিজ্যিক বিষয় নিয়ে যেমন আলোচনা করেছেন, তেমনি কথা বলেছেন আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে। তাদের আলোচনায় ইউক্রেন প্রসঙ্গও এসেছে, যেখানে চীন ও জার্মানি একেবারে উল্টো অবস্থানে আছে।</p> <p style="text-align:justify">চীনা প্রেসিডেন্টকে শলৎস বলেছেন, দুই দেশের সংস্থাগুলো যাতে সমান সুযোগ পায় সেটা নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতের জন্য এটা খুবই জরুরি।</p> <p style="text-align:justify">চীনের সরকরি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বার্লিনের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদী ও কৌশলগত সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় বেইজিং। তিনি জানিয়েছেন, চীন ও জার্মানি দুই দেশেরই প্রচুর প্রভাব রয়েছে এবং দুইটিই অন্যতম প্রধান দেশ।</p> <p style="text-align:justify">শি বলেছেন, চীন আলোচনার মাধ্যমে ইলেকট্রিক গাড়ির বিষয়ে সমস্যার সমাধান করতে চায়। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই আলোচনা শুরুর কথা জানিয়েছেন তিনি।</p> <p style="text-align:justify">ইউক্রেন প্রসঙ্গে শলৎস চীনের প্রেসিডেন্টকে বলেছেন, বিশ্বজুড়ে একটাই নীতি থাকা দরকার। কেউ যেন তাদের প্রতিবেশীকে ভয় না পায়।</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার সেনা যেভাবে রাশিয়ায় গিয়ে যুদ্ধ করছে, তাতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে।</p> <p style="text-align:justify">সরকারি ব্রডকাস্টার জেডিএফ-কে শলৎস বলেছেন, রাশিয়াকে চীনের অস্ত্র দেওয়া জার্মানি মেনে নেবে না।</p> <p style="text-align:justify">এদিকে, জি২০ শীর্ষ বৈঠকের পর জারি করা ঘোষণাপত্র নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ। ঘোষণাপত্রে ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে যা বলা হয়েছে, তাতে খুশি হতে পারেননি শলৎস। তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া যে ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য দায়ী, সেই কথাটা বলার মতো ভাষা খুঁজে পায়নি জি২০। আমার মনে হয়েছে, যা বলা হয়েছে, তা খুবই কম।’</p> <p style="text-align:justify">শোলজ বলেছেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মতো ক্ষমতার অন্ধ দম্ভ নিয়ে থাকা মানুষের জন্য গত এক হাজার দিন ধরে ইউক্রেনের মানুষ যন্ত্রণার মধ্যে আছেন। তিনি সহিংসতার মাধ্যমে রাশিয়ার এলাকা বাড়িয়ে নিতে চান।’</p> <p style="text-align:justify">সূত্র : ডয়চে ভেলে</p>