<p>ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে বরখাস্ত করেছেন। মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। গাজা এবং লেবানন যুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযান পরিচালনার বিষয়ে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ওপর থেকে নেতানিয়াহুর আস্থা উঠে যাওয়ার কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। </p> <p>ইয়োভ গ্যালান্টের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং দেশটির বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ এবং নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন গিডিয়ন সার। নেতানিয়াহুর কার্যালয় এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।</p> <p>একটি সংক্ষিপ্ত চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় বলেছে, রাত ৮টার দিকে এক বৈঠকে গ্যালান্টকে বরখাস্তের চিঠি দেওয়া হয়েছে। বৈঠকে নেতানিয়াহু তাকে জানিয়েছিলেন, এই চিঠি প্রাপ্তির ৪৮ ঘণ্টা পর বরখাস্তের আদেশ কার্যকর হবে। </p> <p>চিঠিটির শেষে নেতানিয়াহু লিখেছেন, ‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে আপনার পরিষেবার জন্য আমি আপনাকে ধন্যবাদ জানাই’। সংক্ষিপ্ত এক বার্তায় এ প্রসঙ্গে নেতানিয়াহু আরো বলেন, ‘আমার এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মধ্যকার আস্থা ভেঙে গেছে।’</p> <p>বার্তায় নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘তার (ইয়োভ গ্যালান্ট) সঙ্গে আমার যেসব মতপার্থক্য ছিল, সেসব নিরসনের জন্য আমি অনেক চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেসব চেষ্টা কোনো কাজে তো আসেই নি, উপরন্তু জনগণের সামনে খুবই অগ্রহণযোগ্যভাবে প্রকাশিত হয়েছে।’</p> <p>তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বাজে ব্যাপার হলো, বিভিন্ন ইস্যুতে আমাদের মতপার্থক্য শত্রুদেরও নজরে এসেছে এবং তারা এটি উপভোগের পাশাপাশি এ থেকে ফায়দা তোলারও চেষ্টা করছেন। তাই আমার সামনে আর কোনো বিকল্প ছিল না।’</p> <p>এদিকে বরখাস্তের ঘোষণার কিছুক্ষণ পর গ্যালান্ট এক্স-এ একটি পোস্টে বলেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করা ‘সর্বদা আমার জীবনের লক্ষ্য থাকবে’।</p> <p>তিনটি ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরে নেতানিয়াহুর সঙ্গে মতানৈক্য চলছিল গ্যালান্টের। সেগুলো হলো, অতি রক্ষণশীল ইহুদিদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্তি, হামাসের কবজায় থাকা জিম্মিদের উদ্ধারে নেতানিয়াহু, মন্ত্রিসভায় তার অনুগতদের উদাসীনতা এবং হামাসের গত ৭ অক্টোবরের হামলার দাপ্তরিক তদন্ত শুরু করা নিয়ে নেতানিয়াহুর গড়িমসি।</p> <p>টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্যালান্ট বলেন, ‘বিশেষ করে জিম্মিদের মুক্তির ব্যাপারে কোনো প্রকার উদাসীনতা ক্ষমার অযোগ্য। জিম্মিদের স্বজন ও পরিবারের সদস্যরা যে ভয়াবহ দুশ্চিন্তা ও মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, শিগগির তার অবসান না হলে পুরো সমাজ ভুল পথে চালিত হবে।’</p> <p>সূত্র : রয়টার্স, সিএনএন</p>