<p>বাংলাদেশের জয়ের পথে ‘কাঁটা‘ হয়েছিলেন সিদিকুল্লাহ অটল। ম্যাচ শেষেও কাঁটাই হয়ে থাকলেন তিনি। তার বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের কাছেই আজ বাংলাদেশ হেরেছে টি-টোয়েন্টি ইমার্জিং এশিয়া কাপে। অপরাজিত ৯৫ রানের ইনিংস আফগানিস্তানকে ৪ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন তিনি।</p> <p>ম্যাচ জিততে ১৮ বলে ৩৩ রান প্রয়োজন ছিল আফগানিস্তানের। এমন সমীকরণে বোলিং করতে এসে রানে লাগাম দেওয়ার বিপরীতে ১৭ রানে দেন আবু হায়দার রনি। মূলত তখনই বাংলাদেশের জয়ের আশা শেষ হয়। তার পরে ১২ বলে ১৬ রানের সমীকরণে বোলিং করতে এসে ১ উইকেট পেলেও ১০ রান দেন রিপন মন্ডল। পরে ৬ বলে ৬ রানের সমীকরণ প্রথম বলেই রনিকে ছক্কা মেরে মিলিয়ে দেন সিদিকুল্লাহ।</p> <p>এর আগ ১৬৫ রানের লক্ষ্যে দিয়ে দারুণ শুরু পেয়েছিল বাংলাদেশ। দলীয় ২৪ রানের মধ্যে আফগানিস্তানের দুই ব্যাটারকে আউট করে। তবে ওপেনিংয়ে নেমে এক প্রান্ত আগলে রেখে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে থাকেন সিদিকুল্লাহ অটল। ফিফটি করার পথে চতুর্থ উইকেটে শহিদুল্লাহর সঙ্গে ৪২ রানের জুটিও গড়েন তিনি। ১৯ রানে শহিদুল্লাহকে আউট করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান আবু হায়দার রনি।</p> <p>তবে নিজের আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের পসরা ঠিকই চালু রাখেন সিদিকুল্লাহ। ৯৫ রানের টনের্ডো ইনিংস খেলেই একাই ম্যাচ জিতিয়ে দেন বাঁহাতি ওপেনার। ১৭২.৭২ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৫ ছক্কা ও ৯ চারে।</p> <p>আল আমেরাত স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পারভেজ হোসেন ইমনের ফিফটিতে ৪ উইকেট ১৬৪ রান করে বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ৪ রানে জিশান আলম আউট হলেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে মশগুল ছিলেন ইমন। দ্বিতীয় উইকেটে সাইফ হাসানের সঙ্গী ৬৬ রানের জুটি গড়ার পথে ফিফটি তুলে নেন তিনি। আউট হওয়ার আগে খেলেন ১৬৮.৭৫ স্ট্রাইকরেটে ৫৪ রানের ইনিংস। ইনিংসটি সাজান সমান ৪টি করে চার ও ছক্কা।</p> <p>মাঝে সাইফ (১৬) ও অধিনায়ক আকবর আলি (৪) দ্রুত ফিরলেও রানের চাকা সচল রাখেন তাওহিদ হৃদয় ও শামীম হোসেন পাটোয়ারি। পঞ্চম উইকেটে ৭০ রানের অপরাজিত জুটি গড়েন দুজনে। হৃদয় সমান ২টি করে চার ও ছক্কায় ৪২ রানের ইনিংস খেলেন। অপরদিকে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন শামীম। </p>