<p>রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগে কথায় কথায় বিরোধীদের সাহস থাকলে দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানাতেন। অতীতে তার দেয়া বক্তব্যগুলো এক্সামিন করলে দেখবেন সেসব ছিল সাহস থাকলে আদালতে বিচারের মুখোমুখি হতে। এখন আদালতে বিচারের মুখোমুখি হওয়া উনার জন্যও ভালো। এটা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দর্শনও ছিল। উনি হয়তো তাই করবেন বলে আমি মনে করি।</p> <p>রবিবার (২০ অক্টোবর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ওবায়দুল কাদেরকে ধরিয়ে দিতে ‘পুরস্কার’ ঘোষণা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/20/1729413937-485504ce9e76b2b6f3334361e50db0ca.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ওবায়দুল কাদেরকে ধরিয়ে দিতে ‘পুরস্কার’ ঘোষণা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/20/1437121" target="_blank"> </a></div> </div> <p>মো. আসাদুজ্জামান বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আইন দ্বারা গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। প্রত্যেক আসামির উচিৎ আদালতের সামনে এসে বিচারের মুখোমুখি হওয়া। </p> <p>গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, প্রসিকিউশন যদি আসামির অবস্থান নিশ্চিত হন সেক্ষেত্রে তাকে ফিরিয়ে আনতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে। ইন্টারপোলের সহযোগিতা নিয়েও ফিরিয়ে আনা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে দেখতে হবে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে ইন্টারপোলের এখতিয়ার রয়েছে কিনা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া নিয়ে যা ভাবছে ভারত" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/20/1729362158-13c68fc519c3deeeaff75b99234018e6.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া নিয়ে যা ভাবছে ভারত</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/world/2024/10/20/1436960" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহালের মধ্য দিয়ে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেলো। অবশ্যই আজকের রায়টি বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতার ক্ষেত্রে মাইলফলক ও ঐতিহাসিক হয়ে থাকবে। এই রায়ের ফলে বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালনের একটা জায়গায় গেলো এবং বিচারবিভাগ দুর্বৃত্তায়ন ও রাজনীতি থেকে বেরিয়ে এলো।</p> <p>বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে ফেরা প্রসঙ্গে মো. আসাদুজ্জামান বলেন, সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের ওপর ঐতিহাসিক একটি দায়িত্ব অর্পিত হলো। সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীর রায় 'রিভিউ' আবেদন অনেক আগেই ফাইল করা হয়। রিভিউতে ৯৪টি গ্রাউন্ড পেশ করা হয়। আমরা এই ৯৪টি গ্রাউন্ড এক্সামিন করেছি, পূর্ণাঙ্গভাবে পড়েছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে ৯৪টি গ্রাউন্ডের মধ্যে একটি গ্রাউন্ডও মামলা রিভিউ হওয়ার মতো গুড গ্রাউন্ড না। আমরা আদালতকে বলেছি এ গ্রাউন্ডগুলো আমরা উপস্থাপন করবো না।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দেশ ছাড়ার আগে যা বলতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/20/1729428811-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দেশ ছাড়ার আগে যা বলতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/20/1437199" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের অপসারণের বিধান সংক্রান্ত সংবিধানের বহুল আলোচিত ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা ‘রিভিউ’ আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।  সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ থেকে বাতিল ২ থেকে ৮ উপ-অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল (রিস্টোর) করে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ রায় দেন। </p> <p>ফলে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহাল রইলো এবং বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের কাছে ফিরল। শুনানিতে অংশ নেয়া সিনিয়র এডভোকেট ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল এ দাবি করেন। </p> <p>আদালতে রিটকারি পক্ষের শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরশেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। আর আদালতের অনুমতি নিয়ে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল।</p>