<p>এলডিএল কোলেস্টেরল শরীরের জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে উঠতে পারে। রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হৃদরোগ, স্ট্রোক ও অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়। নিয়মনীতি ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস মেনে চললে কোলেস্টেরল মাত্রা ঠিক থাকে। প্রাণঘাতী রোগগুলোর ঝুঁকিও কমে যায়। আসুন, দেখে নিই, রক্তে কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে কী করতে হবে :  </p> <p><strong>খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন</strong></p> <ul> <li>ফাইবার বা আঁশযুক্ত খাবার খান। শাক-সবজি, ফলমূল, ওটস এবং সম্পূর্ণ শস্যজাত খাবার ফাইবারের ভালো উৎস। ফাইবার শরীর থেকে খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) বের করে দেয়।  </li> <li>চর্বি নিয়ন্ত্রণ করুন। স্যাচুরেটেড ফ্যাট (যেমন লাল মাংস, মাখন) এবং ট্রান্স ফ্যাট (ফাস্ট ফুড, প্রসেসড খাবার) কমিয়ে আনুন।  </li> <li>স্বাস্থ্যকর ফ্যাট গ্রহণ করু। জলপাই তেল, বাদাম, এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছ (যেমন স্যামন, সার্ডিন) ভালো চর্বি সরবরাহ করে।</li> </ul> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শীতে হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়ে কেন? করণীয় কী?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/19/1732002498-4b8e1fd9dc1f405851f62e9a9eab230f.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শীতে হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়ে কেন? করণীয় কী?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/19/1448312" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন</strong><br /> অতিরিক্ত ওজন কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত ব্যায়াম এবং সুষম খাদ্যের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।</p> <p><strong>নিয়মিত ব্যায়াম করুন</strong><br /> হৃদযন্ত্র সুস্থ রাখতে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট মাঝারি মাত্রার অ্যারোবিক ব্যায়াম (যেমন হাঁটা, সাইক্লিং) করুন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দিনে কতটুকু হাঁটবেন, কেন হাঁটবেন, কীভাবে হাঁটবেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/17/1731843285-d966e8e5ebe3e7df096652570df399a0.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দিনে কতটুকু হাঁটবেন, কেন হাঁটবেন, কিভাবে হাঁটবেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/17/1447662" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>ধূমপান ও মদ্যপান বন্ধ করুন  </strong><br /> ধূমপান এবং অতিরিক্ত মদ্যপান রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়ায়। এগুলো ত্যাগ করলে ভালো কোলেস্টেরল (HDL) বৃদ্ধি পায়।</p> <p><strong>মানসিক চাপ কমান </strong><br /> স্ট্রেসের কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। ধ্যান, যোগব্যায়াম এবং মানসিক শান্তির জন্য সময় বের করুন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ব্লাড ক্যান্সারের ১০ লক্ষণ" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/17/1731823736-b3f92826184919f4597a36c4df74eca0.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ব্লাড ক্যান্সারের ১০ লক্ষণ</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/17/1447575" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন</strong><br /> রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা পর্যবেক্ষণ করুন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনে ওষুধ নিন।</p> <p><strong>রন্ধন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনুন  </strong><br /> তেলে ভাজা খাবারের পরিবর্তে গ্রিল, সেদ্ধ বা স্টিম করা খাবার খান। রান্নায় অলিভ অয়েল বা সানফ্লাওয়ার অয়েল ব্যবহার করুন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="নিউমোনিয়া থেকে বাঁচার ১০ উপায়" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/16/1731758927-b427cf6b09af7b14f94ff8f001bf31ba.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>নিউমোনিয়া থেকে বাঁচার ১০ উপায়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/16/1447295" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>অতিরিক্ত চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন</strong><br /> অতিরিক্ত চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার রক্তে কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়ায়। এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন।</p> <p><strong>চিকিৎসকের পরামর্শ নিন</strong><br /> কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অনেক সময় জীবনযাত্রার পরিবর্তন যথেষ্ট নয়, তাই ওষুধ প্রয়োজন হতে পারে।  </p> <p>রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সচেতন জীবনযাপন জরুরি। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মিত ব্যায়াম এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। ফলে কমবে স্ট্রোক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে। </p> <p>সূত্র : ল্যানসেট</p>