<p>কসবায় জীবন, আখাউড়ায় কাজল- সাবেক আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের ডান হাত বাম হাত বলে পরিচিত ছিলেন তারা। মাঝে মাঝে দূরত্ব বাড়লেও সেটা কমিয়ে সম্পর্ক ধরে রাখেন কাজল। তবে ফুফাতো ভাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোটে দাঁড়ানো ও ‘জোরপূর্বরক’ পাস করার পর জীবনের সঙ্গে দূরত্ব বেড়ে যায় আনিসুল হকের। একেবারেই যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জীবন। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শেখ হাসিনার উদ্দেশে যা বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/20/1729430052-004c58cdfd145489e6fd98f4ecbcd2cd.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শেখ হাসিনার উদ্দেশে যা বললেন অ্যাটর্নি জেনারেল</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Court/2024/10/20/1437208" target="_blank"> </a></div> </div> <p>সাবেক আইনমন্ত্রী মসজিদে দাঁড়িয়ে কথা দিয়েও সেই কথা রাখতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠে। উপজেলা মডেল মসজিদে নামাজ আদায় শেষে দুই প্রার্থীই আপনজন উল্লেখ করে সুষ্ঠু ভোট করার আশ্বাস দেন আনিসুল হক। তবে কসবার বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট ছাপানোর অভিযোগ উঠে। ২০টি কেন্দ্রে নতুন করে ভোট গ্রহণের দাবি তুলে সংবাদ সম্মেলন করেন জীবন, যেটি মূলত সাবেক আইনমন্ত্রীর বিপক্ষেই যায়। </p> <p>তবে শেষ রক্ষা হয়নি জীবনের। সাবেক আইনমন্ত্রীর সাবেক এপিএস রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া জীবন গ্রেপ্তার হয়েছেন। পুলিশ তাকে পাঁচদিনের রিমান্ডে এনেছে। একটি হত্যা মামলায় আসামী হিসেবে জীবনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দেশ ছাড়ার আগে যা বলতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/20/1729428811-d6d55a82f7452d28747769bddd786a39.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দেশ ছাড়ার আগে যা বলতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/20/1437199" target="_blank"> </a></div> </div> <p>রাশেদুল কায়সার সাবেক আইনমন্ত্রীর এপিএস পদ থেকে সরে এসে কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সর্বশেষ নির্বাচনে তিনি আইনমন্ত্রীর ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমানের সঙ্গে হেরে যান। ভোট ছাপিয়ে ছাইদুর রহমানকে পাস করানো হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে জীবন এখনো কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আনিসুল হক ছিলেন সভাপতি। ২০২২ সালে হওয়া ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তারা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।<br />  <br /> এদিকে আইনমন্ত্রীর আরেক ঘনিষ্টজন কাজল হলেন, আখাউড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাকজিল খলিফা কাজল বর্তমানে অবৈধভাবে স্ত্রীসহ ভারতের ত্রিপুরার রাজ্যের আগরতলায় অবস্থান করছেন।</p> <p>সরকারের পট পরিবর্তনের পর আইনমন্ত্রী ও তার ওই দুই ঘনিষ্টজনের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আনিসুল হক আরো আগেই ঢাকাতে গ্রেপ্তার হয়ে এখন জেলহাজতে আছেন। মাসখানেক আগে পালিয়ে ভারত চলে যান তাকজিল খলিফা কাজল।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ওবায়দুল কাদেরকে ধরিয়ে দিতে ‘পুরস্কার’ ঘোষণা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/20/1729413937-485504ce9e76b2b6f3334361e50db0ca.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ওবায়দুল কাদেরকে ধরিয়ে দিতে ‘পুরস্কার’ ঘোষণা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/20/1437121" target="_blank"> </a></div> </div> <p>স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একটা সময় ছিলো আনিসুল হকের সংসদীয় এলাকা কসবা ও আখাউড়ার সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করতেন রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া। এপিএস হওয়ার সুবাদে তিনি ছিলেন সবকিছুর নিয়ন্ত্রক। তবে তাতে ভাগ বসান তাকজিল খলিফা কাজল। এক পর্যায়ে কসবার বিষয়গুলো জীবন ও আখাউড়ার বিষয় কাজল দেখভাল করতেন। এ নিয়ে অবশ্য জীবন ও কাজলের মধ্যে দ্বন্দ্বও দেখা দেয়। তৎকালীন মন্ত্রীর সামনেই দু’জনের বিভিন্ন সময়ের বিতণ্ডার বিষয়টি যেন ওপেন সিক্রেট হয়ে পড়ে।</p> <p>২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে প্রভাব কমতে শুরু করে রাশেদুল কায়সারের। আইনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি আলাউদ্দিন বাবু ও শফিকুল ইসলাম সোহাগ ধীরে ধীরে তার জায়গাটি দখলে নিতে শুরু করেন। বিশেষ করে আলাউদ্দিন বাবু সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের অলিখিত এপিএস হয়ে উঠেন। ২০২২ সালে কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর শুধুমাত্র দলীয় বিষয় ছাড়া অন্যান্য সবকিছুর উপর নিয়ন্ত্রণ হারাতে থাকেন জীবন। এ অবস্থায় আলাউদ্দিন বাবু হয়ে উঠেন অপ্রতিদ্বন্দ্বি। বাবুর বাবা সাবেক আইনমন্ত্রীর কসবার পানিয়ারূপের গ্রামের বাড়ির দেখভাল করার সুবাদে স্থানীয়ভাবেও প্রভাব শুরু হয়ে যায়। এ নিয়ে জীবন ও বাবুর মধ্যে দ্বন্দ্ব বেড়ে যায়। জীবনকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ থেকে সরাতে উঠে পড়ে লাগেন বাবু।</p> <p>চলতি বছর হওয়া কসবা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আইনমন্ত্রীর ফুফাতো ভাই ছাইদুর রহমান স্বপন ও রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তবে সেখানে সুষ্ঠু ভোট হয়নি। মন্ত্রীর ফুফাতো ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে নেন বেশিরভাগ নেতা। তবে আইনমন্ত্রী দু’জনকেই আপনজন উল্লেখ করে মসজিদে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখার সময় সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস দেন। অবশ্য সেখানে সুষ্ঠু ভোট না হওয়ার অভিযোগ তুলেন জীবন। এ অবস্থায় আনিসুল হকের সঙ্গে তার দূরত্ব বেড়ে যায়। জীবন এক পর্যায়ে এলাকা ছেড়ে ঢাকায় অবস্থান নেন। অনেকটাই যোগাযোগ বন্ধ করে দেন আইনমন্ত্রীর সঙ্গে।</p> <p>এদিকে ২০২২ সালে ঢাকায় বিএনপি কার্যালয়ে ঢুকে মকবুল নামে এক কর্মীকে হত্যার ঘটনায় জীবনকে শনিবার রাতে ঢাকার কাকরাইল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। চিকিৎসার জন্য সেখানকার একটি হাসপাতালে গেলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। রবিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তার ১০ দিনের রিমাণ্ড চাওয়া হলে পাঁচদিনের মঞ্জুর হয়।</p>