<p>সুপরিকল্পিতভাবে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ঢাকাকে বিচ্ছিন্ন করতেই সাভারে বিশৃঙ্খলা করেছে দুষ্কৃতকারীরা। গত কয়েক দিনে সাভারের দুষ্কৃতকারীদের হামলায় যেসব সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা পরিদর্শন করতে গিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এ কথা বলেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি নুরুল ইসলাম।</p> <p>তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করতে ধনিয়া থেকে কাঁচপুর ব্রিজে বিশৃঙ্খলা করেছে তারা। এ ছাড়া নরসিংদীতে বিশৃঙ্খলা করেছে যাতে সিলেটের সঙ্গে ঢাকা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। গাজীপুরে করা হয়েছে যেন ময়মনসিংহ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা বিছিন্ন হয়।</p> <p>নুরুল ইসলাম বলেন, সাভারে প্রায় ২০টির মত বড় বড় প্রতিষ্ঠান আছে, যেগুলো ভাঙচুর করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পশুসম্পদ কার্যালয়। গাড়ি পোড়ানো, পুলিশ বক্স, ডিবি অফিস ভাঙচুর ও ট্রাফিক পুলিশের স্থাপনাগুলো নিশ্চিহ্ন করেছে দুষ্কৃতকারীরা। এ ছাড়া সিটি সেন্টারসহ মানুষের জানমালের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে। তিন থেকে চার হাজার লোক কন্টিনিউয়াসলি তিন দিন ধরে ১৮-২০ জুলাই এই নৈরাজ্য চালিয়েছে।<br />   <br /> নুরুল ইসলাম আরো বলেন, যারা রাষ্ট্র ও সরকারকে ভ্যানিশ করে দিতে চায় তাদের দ্বারা কোটাবিরোধী আন্দোলন হাইজ্যাক হয়ে যায়। নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে যারা অংশগ্রহণ করেছে তাদের মধ্যে কেউই ছাত্র ছিল না। সম্প্রতি মানুষের চলাচলকে স্বাচ্ছন্দ্যময় করার জন্য হকারদের উচ্ছেদ করা হয়েছিল, তারাও এই জ্বালাও-পোড়াও, ভাঙচুরে অংশগ্রহণ করেছে। এই সম্মিলিত গোষ্ঠীর উদ্দেশ্য ছিল রাষ্ট্রকে অকার্যকর করা এবং সরকারকে উচ্ছেদ করা। অর্থাৎ রাষ্ট্রদ্রোহের কাজই তারা করেছে। এর সঙ্গে কোটাবিরোধী আন্দোলনের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।</p> <p>এ সময় ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজির সঙ্গে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপারসহ পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।</p>