<p>অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা বৈঠক করেছেন গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। এতে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদলের সদস্যরা অংশ নেন। এ বৈঠকে ১২টি প্রস্তাব দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।</p> <p>শনিবার (৫ অক্টোবর) রাত ৮টা ১৫ মিনিটে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেওয়া ১২টি প্রস্তাব তুলে ধরেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ। </p> <p>এ সময় উপস্থিত ছিলেন- গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) সভাপতি নুরুল হক নুর, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  হাসান আল মামুন, সদস্য উচ্চতর পরিষদ ফাতেমা তাসনিম ও সদস্য উচ্চতর পরিষদ অ্যাডভোকেট নূরে এরশাদ সিদ্দিকী।<br />  <br /> গণঅধিকার পরিষদের ১২ দফা প্রস্তাব হলো-<br />  <br /> ১. অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের পরিকল্পনা ও রোডম্যাপ প্রকাশ করা।</p> <p>২. যেহেতু সংবিধান ও রাষ্ট্র সংস্কার অভ্যুত্থানের একটি মৌলিক ধারণা ও এ সময়ের অপরিহার্য বিষয় হয়ে উঠেছে, তাই গণহত্যায় জড়িত পতিত স্বৈরাচার ও তার দোসরদের বিচার এবং রাষ্ট্র সংস্কারের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা</p> <p>৩. সরকারের কাজের সঙ্গে রাজনৈতিক দল ও জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে আলোচনার মাধ্যমে দক্ষ, কর্মঠ ও অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের নিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের পরিসর বাড়ানো</p> <p>৪. শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের আমলে দুর্নীতি, লুটপাট করে আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া মাফিয়া, অর্থপাচারকারী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং গত ১৫ বছরে দেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ</p> <p>৫. সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে গত ১৫ বছরে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত দলবাজ, দুর্নীতিবাজদের অপসারণের পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সরকারি-আধা সরকারি চাকরিতে মেধা ও দক্ষতার ভিত্তিতে নিয়োগের সুস্পষ্ট নীতিমালা তৈরি ও নিয়োগ কমিশন গঠন করে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সব নিয়োগ প্রদান</p> <p>৬. রদবদলের নামে ডিসি-এসপিসহ পুলিশ ও প্রশাসনে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহণ</p> <p>৭. যুগের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে কর্মমুখী ও গবেষণানির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়নে নতুন শিক্ষা কমিশন গঠন</p> <p>৮. দুদক পুনর্গঠন করে উপযুক্ত ব্যক্তিদের সমন্বয়ে শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশন করা</p> <p>৯. যুক্তরাষ্ট্রের জিএসপি সুবিধাসহ ইউরোপ ও অন্যান্য দেশে গার্মেন্টস ও পণ্য রপ্তানির সুযোগের সৃষ্টিসহ নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধান করে জিটুজি পদ্ধতিতে বিদেশে দক্ষ শ্রমিক পাঠানো</p> <p>১০. সিটিজেন চার্টার করে দ্রুত সময়ে সব ধরনের নাগরিক সেবা নিশ্চিত করা</p> <p>১১. দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ ও সংসদের মেয়াদ চার বছর করা</p> <p>১২. যেসব দেশে বাংলাদেশের দূতাবাস নেই, সেখানে দূতাবাস সেবা প্রদান ও আগামী নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা।<br />  <br />  <br />  </p>