<p>কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে একটি কু-চক্রি মহল ঘুষ নিয়ে বিভিন্ন মার্কেটের কমিটি গঠন ও চাঁদাবাজি এবং বর্তমান কমিটি বিলুপ্তি এ রকম মিথ্যা অপবাদ প্রচার করছে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট ও দোকান মালিক সমবায় সমিতি এক প্রতিবাদ সমাবেশ করে।</p> <p>উক্ত সমিতির সদস্য মোস্তাক হোসেনের সঞ্চালনায় ও সমিতির সভাপতি হাজি মো.  আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন পূর্ব আগানগরের বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।</p> <p>সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২৫ জুলাইয়ের পর থেকে কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট ব্যবসায়ী এলাকায় কোনো প্রকার চাঁদাবাজি হয় নাই। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. নিপুন রায়ের নির্দেশে হাজি আনোয়ার হোসেনকে সভাপতি ও শওকত হোসেন সোনা ভাইকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি গঠন করে দেওয়ার পর কেরানীগঞ্জ গার্মেন্ট ব্যবসায়ী এলাকার স্বস্তি ফিরে এসেছে।</p> <p>বক্তারা আরো বলেন, বিগত সরকারের আমলে প্রতিটি দোকান থেকে প্রতি মাসে সমিতির নামে ১ হাজার আট শ টাকা চাঁদা তুলতেন। ওই এলাকায় প্রায় ১০ হাজারের বেশি দোকান রয়েছে। গত ১৬-১৭ বছরের কোনো হিসাব সমিতিতে নাই। এখান থেকে কোনো ব্যবসায়ী লাভবান হয় নাই। হাজি আনোয়ার হোসেন সভাপতি হওয়ার পর থেকে দোকান থেকে ১ হাজার আট শ টাকা চাঁদা ন্ধ করে দিয়েছে। তারা কোনো প্রকার চাঁদা দোকান থেকে তুলবে না।</p> <p>সমিতির সভাপতি হাজি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি এর আগেও এই সমিতির সভাপতি ছিলাম। সে সময় ব্যবসায়ীদের সুন্দর পরিবেশ ছিল। ব্যবসাও জমজমাট ছিল। আমরা ব্যবসায়ী এলাকায় এর আগে চাঁদাবাজ পিটিয়ে সায়েস্তা করেছি। ছাত্র- জনতা গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদি সরকার পতনের পর ফের উক্ত সমিতির সভাপতির দায়িত্ব আমার কাছে দেন। ব্যবসায়ীদের প্রতি আমার আহবান আমরা যদি এক থাকি তাহলে কোনো মহলই আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার কেন কোনো ষড়যন্ত্র<br /> করে পার পাবে না। আমরা প্রতিটি মার্কেটে কমিটি করে দিয়েছি। যাতে করে ব্যবসায়ীরা সুন্দর মতো ব্যবসা করতে পারে। আমরা মার্কেট এলাকায় কোনো চাঁদাবাজ  বা সন্ত্রাসীকে প্রশ্রয় দেব না। সুন্দর মতো ব্যবসা করবেন কারো কোনো চাঁদা দিতে হবে না।</p>