<p>বগুড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত রিপন ফকিরের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। রবিবার (২৪ নভেম্বর) সদরের এরুলিয়া বানদিঘি ফকির পাড়া এলাকার কবর থেকে তার মরদেহ তুলে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। </p> <p>মৃত্যুর তিন মাস ২০ দিন পর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বগুড়ার গোয়েন্দা পুলিশের এসআই আরিফুল ইসলাম, জাহিদ হাসানসহ পুলিশ সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদমান আকিফ বলেন, আদালতের নির্দেশে রিপনের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথ মর্যাদায় আবারও দাফন করা হবে।</p> <p>ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রিপন ফকিরকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১০৪ জনের নাম উল্লেখ করে বগুড়া সদর থানায় হত্যা মামলা করা হয়। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ১৭ সেপ্টেম্বর নিহতের স্ত্রী মাবিয়া বেগম এই মামলা করেন।</p> <p>মামলা অনুযায়ী, ৪ আগস্ট শহরের ২ নম্বর রেল ঘুমটি ঝাউতলা এলাকায় ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন রিপন ফকির।</p> <p>বগুড়া কোর্ট পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, রিপন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিহতের মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণের জন্য ২৮ অক্টোবর মরদেহ উত্তোলনে বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলি আদালতে আবেদন করেন। ৩১ অক্টোবর আবেদন মঞ্জুর করেন ম্যাজিস্ট্রেট সুকান্ত সাহা ।</p> <p>সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বগুড়াকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে যথাযথ মর্যাদায় পুনরায় দাফন করার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। </p>