<p style="text-align:justify">সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর পালিয়ে যান টঙ্গীর নিউ মন্নু ফাইন কটন মিলস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও এমডি। এর ফলে বন্ধ হয়ে যায় মিলের প্রশাসনিক সব কাজ। তবে বুধবার (৬ আগস্ট) পালিয়ে থাকা চেয়ারম্যানকে তার চেয়ার ফিরিয়ে দিয়েছেন বিএনপির দুই নেতা। সেই সঙ্গে এমডিকে বের করে দিয়ে সেখানে অন্য একজনকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয় সূত্র জানায়, গত ৫ আগস্টের পর পালিয়ে যান আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ও এমডি মিজানুর রহমান। বুধবার দুপুরে প্রথমে শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় নেতা সালাউদ্দিন সরকার ও আবুল হাসেমসহ (বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত) বেশ কয়েকজন বিএনপির নেতা মন্নু মিলে আসেন। এরপর পালিয়ে থাকা চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ ও এমডি মিজানুর রহমানও মিলে আসেন। </p> <p style="text-align:justify">এরপর মিলের ভেতর তারা বেশ কিছুক্ষণ সভা করেন। এ সময় কয়েকজন সাংবাদিক গেলেও তাদের মোবাইলে ছবি তোলা নিষেধ করা হয়। সভা শেষে হারুন অর রশিদকে তার চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসানো হয়। এমডি মিজানুর রহমানকে মিল থেকে বের করে দেওয়া হয়। এমডির জায়গায় মিলের জিএম কুদ্দুছ মোল্লাকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয়।</p> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ‘আমি আশপাশেই ছিলাম, অফিসে আসিনি। আজ থেকে অফিসে আসা শুরু করলাম।’</p> <p style="text-align:justify">বিএনপি নেতা আবুল হাসেম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি আরেকটি মিলের দায়িত্বে আছি। তাই দাওয়াত পেয়ে এলাম। মন্নু মিলের এমডির নামে মামলা আছে। তাই জিএমকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’ </p> <p style="text-align:justify">আওয়ামী লীগের লোককে ডেকে এনে চেয়ার ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই খবরটি পত্রিকায় দিয়েন না। অনুরোধ রইল।’</p> <p style="text-align:justify">এ বিষয়ে শ্রমিক দলের নেতা সালাউদ্দিন সরকারকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, ‘সামনে এজিএম আছে। তাই চেয়ারম্যানকে বসানো হয়েছে। এমডির বিরুদ্ধে মামলা আছে। এ জন্য মিলের জিএমকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’</p> <p style="text-align:justify">বিদায়ি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘মিল হস্তান্তরকালীন থেকে আমি দায়িত্ব পালন করে আসছি। আরো দুই বছর আমার দায়িত্বকালের মেয়াদ রয়েছে। মিলে গেলে আমাকে কতিপয় লোকজন বের করে দেয়। কিন্তু মিলের চেয়ারম্যানকে অন্য নেতারা নিয়ে চেয়ারে বসায়। আসলে আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।’</p> <p style="text-align:justify">মিলের একাধিক সূত্র জানায়, বিশ্ব ইজতেমায় মন্নুর জায়গায় শত শত দোকান বসে। এসব দোকান থেকে লাখ লাখ টাকা আয় হয়। এই আয়ের টাকার জন্য তাড়াহুড়া করে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের ডেকে এনে মিল প্রশাসন সচল করা হয়েছে।</p>