<p>দিনাজপুরে এক দিন আগে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে প্রতি কেজি ৪০০ টাকা হওয়ার পর ২০ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ টাকায়। দাম বেড়ে যাওয়ার পর ক্রেতারা খুচরা বাজারে কাঁচা মরিচ কিনছে কেজি বা পোয়ার বিপরীতে ১০০ গ্রাম হিসেবে।</p> <p>শনিবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে দিনাজপুর শহরের বাহাদুর বাজার, উপশহর বাজার, ফুলবাড়ী বাসস্ট্যান্ড, সুইহারী বাজার ও হাবিপ্রবির সামনে বাঁশের হাট বাজারে খবর নিয়ে এমন চিত্র জানা গেছে।</p> <p>শহরের সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার বাহাদুর বাজারে খবর নিয়ে জানা যায়, কাঁচা মরিচের আমদানি কমে গেছে। যেখানে ১০০ বস্তা মরিচ লাগে সেখানে আমদানি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ বস্তা। অতিবৃষ্টির কারণে মরিচের গাছ মরে যাওয়ায় এবং ফলন কম হওয়ায় মরিচের আমদানি কমেছে। তবে হিলি হয়ে কাঁচা মরিচ আসায় এখন এই দামে মরিচ বিক্রি হচ্ছে। অন্যথায় হাজার টাকা কেজি কিনতে হতো বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।</p> <p>বাহাদুর বাজারের পাইকারি মরিচ বিক্রেতা মুন্না বলেন, বাজারে ভারতীয় ও দেশি মরিচ বিক্রি হচ্ছে। দামে ২০ টাকা পার্থক্য। তিনি বলেন, হিলি স্থলবন্দরে আগাম টাকা দিয়েও মরিচ পাওয়া যাচ্ছে না। আবার কাঁচা মরিচের বস্তায় অনেক পচা মরিচ বের হচ্ছে। পাইকারি বাজার থেকে খুচরা বাজারে কেজিতে প্রকারভেদে ৬০ থেকে ৮০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অতি বৃষ্টির কারণে দাম বেড়েছে।</p> <p>খুচরা মরিচ বিক্রেতা মো. ফরিদ হোসেন বলেন, শুক্রবার কাঁচা মরিচ ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। আজ (শনিবার) ২০ টাকা কমে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।</p> <p>মরিচের দোকানের কর্মচারী আব্দুল আলিম বলেন, এখন আর কেউ কেজি দরে মরিচ কেনে না। কাঁচা মরিচ সবাই সর্বোচ্চ কিনছে ৫০ গ্রাম থেকে ১০০ গ্রাম। আমদানি কমেছে, দাম বেড়েছে, বিক্রি কমেছে।</p> <p>বাজারে আসা শেফালী বেগম বলেন, বাধ্য হয়েই কাঁচা মরিচ কিনছি। থাইরয়েড রোগী হওয়ার কারণে শুকনা মরিচ খেতে চিকিত্সক নিষেধ করেছেন। তাই বাধ্য হয়ে এত দামে কাঁচা মরিচ কিনছি।</p>