<p>বকেয়া বেতনের দাবিসহ বিভিন্ন দাবিতে মহাসড়কে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিক্ষোভ করছেন কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে মাওনা পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও পথচারীরা। </p> <p>আজ রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে কারখানায় কর্মবিরতি দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। যেসব কারখানার শ্রমিকরা কর্মবিরতি দিয়ে আন্দোলন করছেন সেগুলো হলো- সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড, প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ও মণ্ডল গার্মেন্টস লিমিটেড। </p> <p>জানা যায়, আজ সকাল ৮টা থেকে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পশ্চিম থানার খাঁপাড়া রোডে অবস্থিত সিজন্স ড্রেসেস লিমিটেড নামক কারখানার দেড় হাজার শ্রমিক  জুলাই মাসের বাকি অর্ধেক বেতনের দাবিতে উৎপাদনকাজ বন্ধ করে কর্মবিরতিতে যায়। </p> <p>অবশ্য কারখানাটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই সময়ের বেতন পরিশোধের দিন ধার্য করা হয়েছে। এরপরও তারা আন্দোলন করছে।</p> <p>এদিকে সকাল থেকে টঙ্গীর সাতাইশ বাগানবাড়ি এলাকায় অবস্থিত প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেড নামক কারখানার পাঁচ শতাধিক শ্রমিক তাদের আগস্ট মাসের বেতনের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করছে। এখন মালিক পক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের আলোচনা চলছে। তা ছাড়া টঙ্গীতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের শ্রমিকরা কিছু দাবি নিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন।</p> <p>তা ছাড়া হাজিরা বোনাসের দাবিতে বাঘের বাজার এলাকায় মণ্ডল গার্মেন্টস লিমিটেডের পোশাক কারখানার তিন হাজার শ্রমিক একসঙ্গে বিক্ষোভ মিছিল করে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছেন। এতে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে মাওনা পর্যন্ত কিছু জায়গায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সকাল ৮টা থেকে এ আন্দোলন শুরু করেন শ্রমিকেরা। এতে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। </p> <p>আজ সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে গাজীপুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের পরিদর্শক (বাঘের বাজার জোন) সুমন মিয়া জানান, সকাল থেকে শ্রমিকরা মহাসড়কে আন্দোলন করছেন। এতে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে মাওনা পর্যন্ত তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।</p> <p>গাজীপুর শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোশাররফ হোসেন জানান, আজ সকাল ৮টায় খাইলকুর এলাকায় অবস্থিত এম এম ফ্যাশন অ্যান্ড কম্পোজিট লিমিটেডের তিন শতাধিক শ্রমিক তাদের আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধের দাবিতে উৎপাদনকাজ বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন করছেন। মালিক পক্ষের সঙ্গে শ্রমিকদের আলোচনা চলছে।</p> <p>গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র গাজীপুর জেলা সভাপতি জিয়াউল কবীর খোকন বলেন, কারখানায় যেসব শ্রমিকের কোনো লেট নেই এবং নিয়মিত কাজ করে, তাদের প্রতি মাসে ৭৫০ টাকা অতিরিক্ত হাজিরা বোনাস দিচ্ছে বিভিন্ন পোশাক কারখানা। আমি মনে করি, এটা শ্রমিকদের অধিকার এবং এ দাবি যৌক্তিক।<br />  </p>