<p>সঞ্চয়পত্র হলো বাংলাদেশ সরকারের একটি বিনিয়োগ প্রকল্প, যা সাধারণ জনগণের সঞ্চয় বৃদ্ধির জন্য তৈরি করা হয়েছে। বিনিয়োগকারী নির্ধারিত মেয়াদে সুদসহ তাদের জমাকৃত অর্থ ফেরত পান। তবে সব ধরনের সঞ্চয়পত্র কিনতে সবার জন্য সুযোগ উন্মুক্ত নয়।</p> <p><strong>সঞ্চয়পত্রের ধরন</strong></p> <p>বাংলাদেশে বর্তমানে চার ধরনের সঞ্চয়পত্র রয়েছে : পরিবার সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র এবং পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র।</p> <p><strong>পরিবার সঞ্চয়পত্র : </strong>এই সঞ্চয়পত্র শুধু নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির জন্য সংরক্ষিত। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী বাংলাদেশি নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষ এবং ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী ব্যক্তিরা এটি কিনতে পারেন।</p> <p><strong>পেনশনার সঞ্চয়পত্র : </strong>এটি কিনতে পারেন সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য এবং মৃত সরকারি চাকরিজীবীর পারিবারিক পেনশন সুবিধাভোগী স্বামী, স্ত্রী বা সন্তান।</p> <p><strong>তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক ও পাঁচ বছর মেয়াদি সঞ্চয়পত্র : </strong>এই দুটি সঞ্চয়পত্র সবার জন্য উন্মুক্ত। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী যেকোনো বাংলাদেশি একক বা যুগ্ম নামে এটি কিনতে পারেন। তবে নাবালকের পক্ষে সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ বর্তমানে আর নেই।</p> <p><strong>কেন সঞ্চয়পত্র কিনবেন?</strong></p> <p>সরকারি উদ্যোগে পরিচালিত হওয়ায় সঞ্চয়পত্র একটি নিরাপদ বিনিয়োগ মাধ্যম। এটি ঝুঁকিহীন এবং অন্য বিনিয়োগ মাধ্যমের তুলনায় সুদের হার তুলনামূলক বেশি। প্রয়োজনে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেও সঞ্চয়পত্র ভাঙানো যায়।</p>