<p style="text-align:justify">দেশে ঋণখেলাপির যে সংস্কৃতি শুরু হয়েছে এবং চলছে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের সঠিক প্রয়োগ তার অনেকাংশই ঠেকাতে পারবে, বিশেষ করে ফান্ড ডাইভারশন এবং মানি লন্ডারিং। ইসলামিক ব্যাংকিং একটা নৈতিক আদর্শের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়। প্রচলিত ব্যাংকিং ব্যবস্থায় যেখানে অর্থকে পণ্য হিসেবে গণ্য করছে সেখানে ইসলামিক ব্যাংকিংয়ে অর্থকে পণ্য বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। </p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যুক্তরাজ্যে বন্ধ হলো টাটার স্টিল কারখানা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/03/1727936453-d910c0bfa749cd12cea822ced3c1f8b7.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যুক্তরাজ্যে বন্ধ হলো টাটার স্টিল কারখানা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/business/2024/10/03/1431379" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">এ ছাড়া ইসলামিক ব্যাংকিং সমাজের কল্যাণ-অকল্যাণের বিষয়টিতেও প্রাধান্য প্রদান করে। সমাজের জন্য ক্ষতিকর এমন কোনো খাতে এ ব্যাংকিংয়ের আওতায় বিনিয়োগ করা হয় না। পুরো কর্মপদ্ধতি যথাযথভাবে তত্ত্বাবধান করার জন্য ইসলামিক ব্যাংকিং ব্যবস্থায় শরিয়াহ বোর্ড রয়েছে, যা গ্রাহকদের আস্থা ধরে রাখার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। </p> <p style="text-align:justify">সর্বোপরি গ্রাহক ও ব্যাংকের মাঝে লাভ-লোকসান বণ্টনের যে ন্যায্যতা ইসলামি ব্যাংকিং পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা করেছে তাতে শুধু মুসলিম জনগোষ্ঠীই নয়, অমুসলিমরাও এই ব্যাংকিং পদ্ধতির প্রতি সমানভাবে আকৃষ্ট হচ্ছে। আমরা যখন প্রচলিত ব্যাংকে টাকা রাখি ব্যাংক তখন একটা নির্দিষ্ট হারে সুদ প্রদান করে। এক্ষেত্রে ব্যাংকের লাভ-ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনাধীন থাকে না। </p> <p style="text-align:justify">ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের যে পদ্ধতিটি এখানে বড় পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে তা হলো গ্রাহক ও ব্যাংকের মধ্যে বিনিময় পদ্ধতি প্রক্রিয়া। যেখানে ব্যাংক লাভ করলে গ্রাহককে তার আমানতের ওপর লভ্যাংশ প্রদান করছে, আবার ব্যাংকের ক্ষতি হলে গ্রাহক কোনো লভ্যাংশ পাচ্ছে না। প্রকৃতপক্ষে এ বিষয়গুলোই প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে ইসলামিীক ব্যাংকিংয়ের মৌলিক পার্থক্য হিসেবে কাজ করছে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শিল্পকলার নারী কর্মকর্তার রুম থেকে সাড়ে ২১ লাখ টাকা উদ্ধার!" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/03/1727936055-598d3e39fef36a53b86f5d01e08eb4e6.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শিল্পকলার নারী কর্মকর্তার রুম থেকে সাড়ে ২১ লাখ টাকা উদ্ধার!</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/10/03/1431377" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">মুদারাবা পদ্ধতিতে একপক্ষ মূলধন সরবরাহ এবং অপর পক্ষ তাদের মেধা ও শ্রম দিয়ে সে মূলধন দ্বারা ব্যবসা পরিচালনা করে। যে পক্ষ মূলধন সরবরাহ করছে তাকে সাহিব-আল-মাল বলে আর যে ব্যবসা পরিচালনা করছে তাকে বলা হয় মুদারিব। এক্ষেত্রে ব্যবসায় মুনাফা হলে উভয় পক্ষের মাঝে মুনাফা বণ্টিত হয় আবার ব্যবসায় লোকসান হলে মূলধন সরবরাহকারী লোকসানের ভার বহন করে, একইভাবে ব্যবসা পরিচালনাকারী তার মেধা ও শ্রমের বিনিময়ে কোনো পারিশ্রমিক পায় না। কোনো কারণে যদি মুদারিব কর্তৃক নিয়ম লঙ্ঘন, অবহেলা বা চুক্তিভঙ্গজনিত কারণে লোকসান হয় তবে সে দায় মুদারিবকেই বহন করতে হয়।</p> <p style="text-align:justify">সাধারণত কোনো পণ্য ক্রয় করার পর ক্রয় মূল্যের সঙ্গে নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভের অঙ্ক যোগ করে বিক্রি করাকে মুরাবাহা বলা হয়। মুশারাকা হলো একটি ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের বিনিয়োগ পদ্ধতি, যেটি দুই বা ততধিক অংশীদারদের উদ্যোগে পরিচালিত হয়। এখানে সব অংশীদার একটি চুক্তির ভিত্তিতে ব্যবসার লাভ-লোকসান ভাগ করে নেয়। এমনকি ব্যবসায় কোনো দেনা সৃষ্টি হলে তা পরিশোধেও সব অংশীদারের সমান দায় থাকে।</p> <p style="text-align:justify">ইতোমধ্যেই বলেছি কেন ইসলামিক ব্যাংকিংয়ের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। ইসলামিক ব্যাংকিং পদ্ধতি যে আস্থা ও বিশ্বাসের ক্ষেত্র তৈরি করেছে তাতে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা এ ব্যাংকিং ব্যবস্থায় বেড়েছে এবং ভবিষ্যতেও যে বাড়বে তাতে কোনো সংশয় নেই। প্রচলিত ব্যাংকগুলো যাদের ইসলামী শাখা ও উইন্ডো আছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে ইসলামী ব্যাংকের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত এবং জনপ্রিয় হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="দুনিয়ায় যাদের জন্য উত্তম জীবনের অঙ্গীকার" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/03/1727934649-fc4f33386e0f789ecdd8e48eb82eccbf.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>দুনিয়ায় যাদের জন্য উত্তম জীবনের অঙ্গীকার</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/Islamic-lifestylie/2024/10/03/1431370" target="_blank"> </a></div> </div> <p style="text-align:justify">অর্থনীতিকে আরো গতিশীল করতে নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে ইসলামী ব্যাংকগুলো আরও বেশি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে। কৃষি খাতে বিনিয়োগ সুবিধা আরও বৃদ্ধি করে ইসলামী ব্যাংকগুলো ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে পারে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের একটি বড় মাধ্যম রেমিট্যান্স। তাই জনশক্তি রপ্তানিতে এ ব্যাংকগুলো উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে। এ ছাড়াও বৃক্ষরোপণ অভিযান, স্যানিটেশন প্রোগ্রাম পরিচালনা, চক্ষুশিবির স্থাপনসহ শিক্ষা বিস্তার ও গণশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে এ ব্যাংকগুলো আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে জোরালো অবদান রাখতে পারে।</p> <p style="text-align:justify">ইসলামিক ব্যাংকিং ধারার প্রবর্তন হয়েছে মূলত মানুষের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে। দারিদ্র্য দূরীকরণ ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে এই ব্যাংকিং পদ্ধতি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে তা ইতোমধ্যেই সর্বজনস্বীকৃত।</p> <p style="text-align:justify">শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে ইসলামী ব্যাংকগুলো বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে। শিল্পোদ্যোক্তা তৈরিতে এ ব্যাংকগুলো বিনিয়োগ করছে, যার ফলে অজস্র উদ্যোক্তা তৈরির সঙ্গে সঙ্গে সৃষ্টি হচ্ছে কর্মসংস্থান। স্বল্প পুঁজি নিয়ে এ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা এখন আমাদের দেশের অর্থনীতির ভিত সুদৃঢ়করণে  জোরালো ভূমিকা রাখছে। শুধু তাই নয়, প্রবাসীদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স ব্যাংকিং চ্যানেলে আনতে এই ব্যাংকিং ব্যবস্থার অনবদ্য ভূমিকার কথা উল্লেখ না করলেই নয়। সর্বোপরি বেকারত্ব দূরীকরণ ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্যহীন উন্নত বাংলাদেশ গঠনে ইসলামী ব্যাংকিং পদ্ধতি যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছে।</p> <p style="text-align:justify">সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন</p>