<p>গত সাড়ে ১৫ বছরের সব অপরাধের কেন্দ্রে ছিলেন শেখ হাসিনা, আর মন্ত্রী-এমপিরা ছিলেন তার সহযোগী বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।</p> <p>সোমবার (১৮ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ১৩ জনকে হাজিরের পর শুনানিতে এসব কথা বলেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="শ্রমিকদের দেওয়া আগুনে পুড়ছে পোশাক কারখানা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/18/1731920222-324b230694b4bd7c5273881aa499c610.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>শ্রমিকদের দেওয়া আগুনে পুড়ছে পোশাক কারখানা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/11/18/1447984" target="_blank"> </a></div> </div> <p>তিনি বলেন, ক্ষমতায় এসে পিলখানা হত্যাকাণ্ড দিয়ে শুরু হয় শেখ হাসিনার মানবতাবিরোধী অপরাধ। ব্ল্যাকআউট করে শাপলা চত্বরে হেফাজতের ওপর গণহত্যাসহ আওয়ামী লীগের শাসনামলে সব মানবতাবিরোধী অপরাধের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন শেখ হাসিনা। আর এই ১৩ আসামি ছিলেন তার সহযোগী।</p> <p>তাজুল ইসলাম বলেন, গত ১৫ বছরের শাসনামলে এমন কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ নেই, যেটা শেখ হাসিনা করেননি। আর উপস্থিত এই আসামিরা এসব অপরাধ সংগঠনে সহযোগিতা করে গেছেন। সর্বশেষ জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেড় হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা, অঙ্গহানিসহ ২৫ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। গণহত্যার মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনা চেয়েছিলেন ক্ষমতা প্রলম্বিত করতে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="সীমিত সংস্করণে ফুল এনার্জি দিতেই টেস্টকে বিদায় ইমরুলের" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/18/1731919735-2f35b9cc57323a65be0456f82a38b3d8.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>সীমিত সংস্করণে ফুল এনার্জি দিতেই টেস্টকে বিদায় ইমরুলের</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/sport/2024/11/18/1447983" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এদিন শুনানি চলাকালে এজলাস ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। এ সময় ১৩ আসামি এজলাসে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী শুনানি চলছিল।</p> <p>সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ১৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে শুনানি শুরু হয়। তার আগে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে গারদখানা থেকে তাদের এজলাসে তোলা হয়।</p> <p>সকাল ১০টার দিকে তাদের প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয়। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা ৪৬ জনের মধ্যে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ১৩ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে তোলা হলো।</p> <p>১৩ আসামি হলেন– সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, শাজাহান খান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, জুনাইদ আহমেদ পলক, সালমান এফ রহমান, ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, কামাল আহমেদ মজুমদার, গোলাম দস্তগীর গাজী, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাঙ্গীর আলম। এদিকে অসুস্থ থাকায় ড. আব্দুর রাজ্জাককে আনা হয়নি বলে জানা গেছে।</p>