<p class="body" style="text-align:justify; text-indent:0in"><span style="font-size:10.5pt"><span style="line-height:10.5pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.15pt">প্রতিবছরই মেহেদির নকশা পরিবর্তন হচ্ছে। এ বছর মেহেদি নকশায় ভরাট ও অ্যারাবিয়ান নকশার চল দেখা যাবে। অথচ দু-তিন দশক আগেও মেহেদির নকশা নিয়ে এতটা নিরীক্ষা করতে দেখা যায়নি। বিউটি পার্লারগুলোতে রয়েছে মেহেদি দেওয়ার জন্য বিশেষায়িত বিউটিশিয়ান। মেহেদি বাটার ঝামেলাটা মিটিয়ে দিয়েছে বাজারে কিনতে পাওয়া টিউব মেহেদিগুলো। এই টিউব মেহেদিতেও কত বৈচিত্র্য। লাল মেহেদি, কালো মেহেদি, তার সঙ্গে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে বাজারে পাওয়া হরেক রঙের রঙিন গ্লিটার। দিন দিন মেহেদি দেওয়ার ব্যাপকতা যেমন বেড়েছে, তেমনি নকশায়ও এসেছে পরিবর্তন। হাত ছাড়াও পায়েও অনেকে ডিজাইন করেন। কেউ কেউ মেহেদি দিয়ে ট্যাটুও করেন। কারো পছন্দ এক লাইনের ডিজাইন। আবার অনেকে পুরো হাত ভরে মেহেদি লাগান।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p class="body" style="text-align:justify; text-indent:0.15in"> </p> <p class="body" style="text-align:justify; text-indent:0in"><span style="font-size:10.5pt"><span style="line-height:10.5pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><b><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">নকশায় বৈচিত্র্য</span></span></span></b></span></span></span></span></p> <p class="body" style="text-align:justify; text-indent:0in"><span style="font-size:10.5pt"><span style="line-height:10.5pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.15pt">মেহেদি দেওয়ার নকশায় সব সময়ই বৈচিত্র্য খুঁজে পাওয়া যায়। কখনো হাত রাঙাতে ফুল, লতা-পাতার কত রকম আলপনা শোভা পায় হাতের তালুর মধ্যে! কখনো বা ভাগ হয়ে আধাআধি তালুর নিচে। আঙুলের ডগায় লতানো পাতার মাথায় ছোট তারা ফুল আর বুটি তো আছেই। হাতের তালু ছাড়িয়ে মেহেদিটা কখনো বা চলে যায় একেবারে কনুই পর্যন্ত। কখনো থেমে যায় মাঝপথে। কখনো বা হাতের তালু ছাপিয়ে তালুর বিপরীতে হাতের ওপরে। কালো মেহেদির ভেতর লাল মেহেদি দিয়ে তার ওপর পোশাকের সঙ্গে রং মিলিয়ে লাগিয়ে গ্লিটার মেহেদির বুটিও করেন অনেকে। এমনকি এসব মেহেদিতে পায়েরও আলপনা করছেন অনেকে। সিঙ্গল নকশার চেয়ে এখন ভরাট নকশার দিকেই সবার আগ্রহ। বিশেষ করে গুজরাটি নকশাই বেশি চলছে।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p class="body" style="text-align:justify; text-indent:0.15in"><span style="font-size:10.5pt"><span style="line-height:10.5pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.15pt">রাসায়নিক মেহেদির চেয়ে প্রাকৃতিক মেহেদিই হাত রাঙানোর জন্য ভালো। বাজারে দুই ধরনের মেহেদিই কিনতে পারবেন। চাইলে নিজেই মেহেদি টিউব তৈরি করে নিতে পারেন। বাটা মেহেদি হাতে দিলে খুব মিহি করে বাটতে হবে। তারপর ছেঁকে নিতে হবে ছাঁকনিতে। বাজারে খালি টিউব পাওয়া যায়। কিনে এনে তাতে ভরে নেওয়া যাবে সহজেই। অথবা বাটার পেপার ত্রিকোণ করে তাতে মেহেদি ভরে কোনাকুনি করে মুড়িয়ে আটকে দিন টেপ দিয়ে। এবার সুচ দিয়ে ছোট একটা ছিদ্র করে হাতে ব্যবহার করতে পারবেন। বাজারে পাওয়া যায় নানা ব্র্যান্ডের টিউব মেহেদি । সঙ্গে থাকে আলপনা আঁকা বুকলেট, যা দেখে পছন্দমতো নিজেই সাজাতে পারেন হাত।</span></span></span></span></span></span></span></p> <p class="body" style="text-align:justify; text-indent:0.15in"> </p> <p class="body" style="text-align:justify; text-indent:0in"><span style="font-size:10.5pt"><span style="line-height:10.5pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><b><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.2pt">মেহেদি দেওয়ার আগে-পরে</span></span></span></b></span></span></span></span></p> <p class="body" style="text-align:justify; text-indent:0in"><span style="font-size:10.5pt"><span style="line-height:10.5pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="letter-spacing:-.15pt">মেহেদিতে হাত রাঙানোর আগে ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। একটু গাঢ় রঙের পোশাক পরুন, যাতে কাপড়ে মেহেদির দাগ না লাগে। এবার হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে খুব ভালোভাবে মুছে নিন। কোনো ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন না। পছন্দমতো মেহেদি লাগানোর পর কমপক্ষে এক ঘণ্টা হাতে মেহেদি রাখবেন। এ সময় হাতে পানি লাগানো যাবে না। শুকিয়ে গেলে মেহেদিটা হালকা করে ঝরিয়ে নিন। তারপর লেবুর রস বা চিনির সিরা তুলায় নিয়ে হাতের নকশার ওপর দিন। চাইলে পেট্রোলিয়াম জেল বা ভিক্সও হাতে লাগাতে পারেন। এতে মেহেদির নকশাটা আরো গাঢ় হবে। </span></span></span></span></span></span></span></p>