<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ক্রীড়া প্রতিবেদক : দিনের সব আলো এসে পড়ার কথা ছিল সাদমান ইসলামের ওপর। কিন্তু এই বাঁহাতি ওপেনারের ৯৩ রানের লড়াকু ইনিংসটার পর কে জানত লিটন দাস আলোর ঝলক তাঁর দিকেও টেনে নেবেন? </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সেটি শুধু ৫৮ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংসের জন্য নয়, যেভাবে ইনিংসটি খেলেছেন, সে জন্য। কাভার ড্রাইভ থেকে শুরু করে পুল আর লফটেড ড্রাইভের মতো দৃষ্টিনন্দন সব শটের পসরাই সাজিয়ে বসেছিলেন। পেসার নাসিম শাহর মাথার ওপর দিয়ে মোহনীয় লফটেড ড্রাইভে খুঁজে পাওয়া গেছে ছন্দোময় লিটনকেই! অবশ্য তাঁর এমন মায়াবি ব্যাটিং নতুন কিছু নয়। যেটুকু কথা হয়, সেটি লিটনের অধারাবাহিকতা নিয়ে। তবে টেস্ট ক্রিকেটে লিটন বেশির ভাগ সময়ই নিজেকে ভিন্নভাবে মেলে ধরেছেন। একটি পরিসংখ্যানই সেটি স্পষ্ট করে তুলতে সক্ষম। ২০২১ সালের পর বাংলাদেশের হয়ে সব চেয়ে বেশি ১৬৫৪ টেস্ট রান লিটনের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩১৮ রান মুশফিকুর রহিমের। এখানে মনে করিয়ে দেওয়া ভালো, অন্য দুই সংস্করণে ওপেনারের ভূমিকায় খেলা লিটন টেস্টে ব্যাটিং করে থাকেন সাত নম্বরে। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাওয়ালপিন্ডির ব্যাটিং উইকেটে ২১৮ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর লিটনের পাল্টা আক্রমণ বাংলাদেশকে যেমন স্বস্তি দিয়েছে, তেমনি চাপে ফেলেছে পাকিস্তানকে। তাতে বড় ভূমিকা মুশফিকেরও। ষষ্ঠ উইকেটে লিটনের সঙ্গে তাঁর ৯৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি। লিটনের অমন আক্রমণাত্মক মেজাজের ব্যাটিংয়ের বিপরীতে মুশফিক ছিলেন তাঁর স্বভাবজাত ধীরে চলো নীতিতে। এই অভিজ্ঞ ব্যাটার ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে খেলেছেন ১২২ বল। </span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই জুটির আগে বাংলাদেশ ইনিংসের সারমর্ম অনেকটা এমন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক পা এগিয়ে দুই পা পিছিয়ে যাওয়া। যেখানে ভিন্ন এক সাদমানকে দেখা গেছে। প্রায় আড়াই বছর পর টেস্ট খেলতে নেমেছিলেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন ২০২২ সালের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, ডারবানে। মাহমুদুল হাসান জয় চোটে না পড়লে হয়তো এই টেস্টেও তাঁকে বেঞ্চ গরম করেই কাটাতে হতো। ১৮৩ বলে ১২ চারে সাজানো ইনিংসে সাদমান যেন জানিয়ে গেলেন, খেলাটা আরো <img alt="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/08.August/24-08-2024/2/kalerkantho-sp-1a.jpg" height="535" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/1.Print/2024/08.August/24-08-2024/2/kalerkantho-sp-1a.jpg" style="float:left" width="250" />ভালো বুঝতে পারছেন সময়ের পরিক্রমায়। দিনের শুরুতে ২২ রানের ব্যবধানে দুই সঙ্গী জাকির হাসান (১২) ও নাজমুল হোসেনের (১৬) বিদায়ের পর মমিনুল হককে নিয়ে দলের ইনিংস এগিয়ে নেন সাদমান। তৃতীয় উইকেটে মমিনুল আর সাদমানের ৯৪ রানের জুটি। খুররাম শেহজাদের ইনসুইং ডেলিভারি বুঝতে না পেরে ৫০ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন মমিনুল। দিনের বাকি অংশে বাংলাদেশের কোনো আক্ষেপ থেকে থাকলে সেটা সাত রানের জন্য সাদমানের সেঞ্চুরি হাত ছাড়া ও সাকিব আল হাসানের (১৫) শুরুটা বড় কিছুর দিকে টেনে নিতে না পারা।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">দিনের খেলা শেষে সাদমানের ইনিংসটি নিয়ে প্রশংসা ঝরেছে বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসা মমিনুলের কণ্ঠে, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সাদমানের ৯৩ রানের ইনিংসটা আমার দেখা অন্যতম সেরা একটি ইনিংস। বিদেশে এ রকম চারজন পেসারের বিপক্ষে...চারটাই ভালো মানের পেসার। ওদের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছে, যেভাবে সামলেছে, অসাধারণ।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> সব মিলিয়ে পাঁচ উইকেটে ৩১৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ। এখনো পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের চেয়ে ১৩২ রানে পিছিয়ে সফরকারীরা। আজ চতুর্থ দিন দলের পরিকল্পনা নিয়ে মমিনুল বলছিলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এখন যে রকম খেলছে, সে রকমই পরিকল্পনা থাকবে। আমরা ৫০০-৬০০ রানের চিন্তা করছি না। সেশন ধরে ধরে এগোনোর পরিকল্পনা থাকবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> রাওয়ালপিন্ডির সবুজ উইকেট ক্রমে ধূসর হয়ে ব্যাটারদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে গতকাল। তবে মমিনুল জানালেন, আজ ও শেষ দিন উইকেট বোলারদের সহায়তা করবে, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমার মনে হয় স্পিনাররা কিছু টার্ন ও বাউন্স পাবে। পেসারদের জন্যও সহায়তা থাকবে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> উইকেটের আচরণের ওপর নির্ভর করছে এই টেস্টের গতি-প্রকৃতিও।</span></span></span></span></p>