<p>ইউরোপে বহু প্রসাধনসামগ্রীতে নিষিদ্ধ রাসায়নিক পাওয়া গেছে। ইউরোপীয় কেমিক্যাল এজেন্সি একটি তদন্ত চালিয়েছিল। সেখানেই এই তথ্য ধরা পড়েছে। অন্তত ৬ শতাংশ প্রসাধনসামগ্রীতেই নিষিদ্ধ রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে।</p> <p>ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১৩টি দেশে এই তদন্ত চালানো হয়েছিল। বিভিন্ন দামের সাড়ে চার হাজার প্রসাধনসামগ্রী বাজার থেকে কেনা হয়। এরপর সেগুলো পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। কেমিক্যাল এজেন্সি জানিয়েছে, এর মধ্যে ২৮৫টি পণ্যে নিষিদ্ধ কেমিক্যাল পাওয়া গেছে। এই কেমিক্যালগুলো ইউরোপে ব্যান বা নিষিদ্ধ। ত্বকের ক্ষতি করে এই কেমিক্যালগুলো।</p> <p>২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এই তদন্ত চালানো হয়। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, প্রসাধনসামগ্রীর যে বর্ণনা দেওয়া থাকে প্যাকেটের গায়ে, তা দেখেই জিনিসগুলো কেনা হয়। আশ্চর্য বিষয় হলো, সেখানেই লেখা আছে ওই সামগ্রীতে নিষিদ্ধ রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ ক্রেতারাও চাইলে দেখতে পাবেন এই তথ্য।</p> <p>সংস্থাটি যে প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে, সেখানে বলা হয়েছে, ক্রেতারা আসলে জানেনই না, কোন রাসায়নিকগুলো ইউরোপে নিষিদ্ধ ও কেন।</p> <p>যে সামগ্রীগুলোর মধ্যে নিষিদ্ধ কেমিক্যাল পাওয়া গেছে তার মধ্যে পেনসিল আই লাইনার, লিপস্টিক, চুলের কনডিশনার, মাস্কের মতো নিত্য ব্যবহার্য জিনিস আছে। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আপাতত প্রসাধনসামগ্রীর সরবরাহকারীদের একটি লিখিত নোটিশ পাঠানো হবে। কোন কোন পণ্যে নিষিদ্ধ রাসায়নিক আছে তা তাদের জানানো হবে। ওই জিনিসগুলো তারা যাতে বাজারে না আনেন, তা বলা হবে।</p> <p>প্রাথমিক পদক্ষেপের পর যদি কাজ না হয়, তখন পরবর্তী পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে তারা জানিয়েছেন।</p>