<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি থেকে সরকার পতন আন্দোলন এবং এর পরবর্তী সময়ে ব্যাপক হত্যার পাশাপাশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ ওঠে। এতে এক হাজারের বেশি মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। আহত হন কয়েক হাজার। তাঁদের মধ্যে নারী এবং শিশুও রয়েছেন। এই নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়। পরবর্তী সময়ে এই হত্যার ঘটনা সঠিক ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন পুলিশ সদর দপ্তরের কাছে একগুচ্ছ তথ্য চেয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র বলছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন তার সঠিক তথ্য জানতে চায়। যেকোনো ধরনের তথ্য সরবরাহ করে মিশনকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। গত ৫ আগস্টের পর পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রমের সংস্কার প্রস্তাবের জন্য এরই মধ্যে তাঁরা একাধিক বৈঠক করেছেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ আটটি পৃথক সংস্কার কমিটি গঠন করা হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী বিভিন্ন ইউনিট এ বিষয়ে সব ধরনের তথ্য সংগ্রহের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এনেছেন জানিয়ে সূত্র জানায়, সব ইউনিট থেকে তথ্য-উপাত্ত পাওয়ার পর তা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের তদন্তদলের কাছে হস্তান্তর করবে পুলিশ সদর দপ্তর। উল্লেখ্য, জাতিসংঘের হাইকমিশনার দপ্তরের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান রোরি মুঙ্গোভেন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দলের নেতৃত্বে রয়েছেন।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">জানা গেছে, সম্প্রতি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একটি ই-মেইল ঠিকানা দিয়ে সেখানে তথ্য জানানোর অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক বিক্ষোভের মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করছে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস। তারা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তা, চিকিৎসা পেশাজীবী এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের পরিকল্পনা নিয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">অন্তর্বর্তী সরকারের আমন্ত্রণে এই তদন্ত করা হচ্ছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগের সত্যতা উদঘাটন, দায়দায়িত্ব চিহ্নিতকরণ, মানবাধিকার লঙ্ঘনের মূল কারণ বিশ্লেষণের পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সুপারিশ করবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এতে শুধু ছাত্র-জনতাই নন, অনেক পুলিশ সদস্যও মারা যান। দেশব্যাপী নির্যাতিত জনমানুষের ক্ষোভে পুলিশের অনেক স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত এবং বহু পুলিশ সদস্য আহত হন। নিরীহ, নিগৃহীত সাধারণ পুলিশ সদস্যদের জীবন আজ বিপন্ন। বিশেষ করে ওই সময় থানা টার্গেট করে পুলিশ সদস্যদের পিটিয়ে হত্যার পাশাপাশি লুট করা হয় অস্ত্র। স্থাপনায় দেওয়া হয় আগুন। তবে এই ভীতিকর পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের নবনিযুক্ত মহাপরিদর্শক মো. ময়নুল ইসলাম। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আইজিপি বলেন, পুলিশের নেতৃত্বের ব্যর্থতার কারণেই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। ওই পরিস্থিতিতে অনেক পুলিশ সদস্য মানবাধিকারের নীতিমালা অনুসরণ করেননি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এটি কোনো অপরাধ অনুসন্ধান বা আইনি তদন্ত নয় জানিয়ে বলা হয়, এটি যেকোনো জাতীয় ফৌজদারি বিচার প্রক্রিয়া থেকে স্বাধীনভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এই তথ্য অনুসন্ধান প্রক্রিয়াটি কঠোরভাবে গোপনীয়। তদন্ত চলাকালে তদন্তদলের সদস্যরা কোনো গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেবেন না। তাঁরা সবাইকে তথ্য অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার গোপনীয়তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার জন্য বিনীত অনুরোধ করেছেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ৪৬ দিনে কী ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে, তা জানার চেষ্টা করছে জাতিসংঘ। বিশেষ করে গণ-অভ্যুত্থান ও পরবর্তী সময় মিলিয়ে দেড় মাসে সারা দেশে কতজন মারা গেছেন, তাঁদের পেশাগত পরিচয় কী, কতজন আহত হয়েছেন, কতটি মামলা হয়েছে, কতজন গ্রেপ্তার হয়েছেন</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">তা জানতে চায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ ছাড়া ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশ মোট কত রাউন্ড গুলি করেছে, আন্দোলনকালে কোন কোন কর্মকর্তা মাঠ পুলিশকে গুলির নির্দেশ দিয়েছেন, পুলিশের গুলিতে কতজন মারা গেছেন, কোন কোন এলাকায় সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে, কী ধরনের সহিংসতা হয়েছে</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">—</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এ ধরনের আরো নানা তথ্য জানতে চেয়েছে জাতিসংঘ মিশন।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>