<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভোলার লালমোহন উপজেলায় সরকারি আইন উপেক্ষা করে বছরের পর বছর ধরে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেসার্স আঁঁখি ব্রিকস</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামের একটি ইটভাটা ইট উৎপাদন করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে অন্যের জমি দখলের অভিযোগও উঠেছে ভাটার মালিকের বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ইটভাটাটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে পরিবেশ অধিদপ্তর ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ৬টি লিখিত আবেদন করেছেন এলাকাবাসী। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি দল গত সোমবার উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মুগুরিয়াবাজার এলাকায় ইটভাটা এলাকায় পরিদর্শন করে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ এর ৮ ধারায় (কতিপয় স্থানে ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধকরণ ও নিয়ন্ত্রণ) বলা আছে- আবাসিক, সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা বা উপজেলা সদর, সরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন বন, অভয়ারণ্য, বাগান বা জলাভূমি, কৃষি জমি, প্ররিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার ১ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">লিখিত অভিযোগে এলাকাবাসী উল্লেখ করেন, ইটভাটা আইন উপেক্ষা করে ২০১৪ সাল থেকে </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মেসার্স আঁঁখি ব্রিকস</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> নামক ইটভাটাটি মুগুরিয়াবাজার-সংলগ্ন এলাকায় ইট উৎপাদন করে আসছে। এ ইটভাটার সামনে, পেছনে, আশেপাশে ৪ শতাধিক পরিবার বসবাস করে। ইটভাটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ৭৮৬ মিটারের মধ্যে, দক্ষিণ চরমিয়াজি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ৭৯৫ মিটারের মধ্যে বাংলাবাজার মাহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসা অবস্থিত। ৭৯৩ মিটারের মধ্যে আজিজুর রহমান নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭৭৮ মিটারের মধ্যে পূর্ব চরভূতা প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৪৫৮ মিটারের মধ্যে দুটি মসজিদ অবস্থিত। আইন অনুযায়ী ওই এলাকায় ইটভাটা স্থাপন বা ছাড়পত্র পাওয়ার যোগ্য নয়। এর পরও ইটভাটাটিকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভোলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের ইটভাটা এলাকা পরিদর্শনকালে মুগুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত শাজাহান মাষ্টারের ছেলে শাহিন বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আঁঁখি ব্রিকসের মালিক আনোয়ার হায়দার তাঁদের ৮০ শতাংশ জমি দখল করে ইটভাটার মধ্যে নিয়ে গেছে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">স্থানীয় বাসিন্দা নাছির মিয়া বলেন, প্রভাব খাঁটিয়ে আমার জমি থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নেন ইটভাটা মালিক আনোয়ার হায়দার। এরপর আমাকে ওই জমি বিক্রি করতেও বলেন তিনি।</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তবে আনোয়ার হায়দার অস্বীকার করে বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভাটার কাজে ব্যবহৃত সব জমি তাঁর ক্রয় করা। তিনি কোনো জমি জোর করে ক্রয় বা জবরদখল করেননি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ভোলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক তোঁতা মিঞা ইটভাটা পরিদর্শন করে বলেন, মোসার্স আঁঁখি ব্রিকসের ইটপ্রস্তুতের অনুমোদন (লাইসেন্স) আছে, কিন্তু কয়েক বছর ধরে লাইসেন্স নবায়ন করেনি। ইটভাটার মালিক আনোয়ার হায়দারের বিরুদ্ধে কৃষি জমির মাটি সংগ্রহ, জমি জবরদখল, কৃষি জমির মাটি কেটে নেওয়া ও জমি বিক্রিতে বাধ্য করার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ইটভাটার পাশে কিছু বাড়িঘর, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বাজার আছে। যেগুলো ভাটা প্রস্তুতের পরে স্থাপন হয়েছে বলে ভাটার মালিক পক্ষের দাবি। এখন আমরা ইটভাটার মালিককে উৎপাদনে না গিয়ে ভাটাটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্যে নোটিশ করবেন।</span></span></span></span></p>