<p>দেশের অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র জানতে কাজ করছে অন্তর্বর্তী সরকারের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি। এ জন্য শ্বেতপত্রের খসড়া নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব-জ্যেষ্ঠসচিবের সঙ্গে আগামী রবিবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে সব মন্ত্রণালয়-বিভাগের তথ্য-উপাত্তসহ সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে। এরপর আগামী নভেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত শ্বেতপত্র তৈরি করা হবে। </p> <p>প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দেশের অর্থনীতির প্রকৃত তথ্য সরবরাহসহ সব ধরনের সহযোগিতার জন্য প্রত্যেক মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থায় যুগ্ম সচিব পর্যায়ের একজন কর্মকর্তাকে ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করবেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্যসচিব, প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের মুখ্য সমন্বয়কসহ (এসডিজি) বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জ্যেষ্ঠসচিবরা।</p> <p>শ্বেতপত্রে ছয়টি ক্ষেত্রে আলোকপাত করা হবে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সরকারি আর্থিক ব্যবস্থাপনা। সেই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ সম্পদ, সরকারি ব্যয় (সরকারি বিনিয়োগ, এডিপি, ভর্তুকি ও ঋণ) ঘাটতি বাজেট অর্থায়ন বিষয়াদি থাকবে। এ ছাড়া মূল্যস্ফীতি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনার মধ্যে থাকবে উৎপাদন, সরকারি কেনাকাটা ও খাদ্য বিতরণ এবং বাহ্যিক ভারসাম্যের মধ্যে থাকবে রপ্তানি, আমদানি, প্রবাসী আয়, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই), বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, বিদেশি অর্থায়নের প্রভাব ও ঋণ।</p> <p>রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশন কমপ্লেক্সের এনইসি সম্মেলনকক্ষে আগামী রবিবার সকাল ১১টায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন শ্বেতপত্র প্রণয়নবিষয়ক কমিটির প্রধান ও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। প্রায় ৩০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিব বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। শ্বেতপত্র প্রণয়নবিষয়ক কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য কালের কণ্ঠকে বলেন, দেশের অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র জানতে আমরা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে বসছি। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যেহেতু দেশের অর্থনীতির প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে বেশি অবগত, তাই তাঁদের সঙ্গে এ বিষয়ে পর্যালোচনা করা হবে।</p> <p> </p>