<p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী জানিয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিজিবির কোনো অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি। মাত্র ৬ শতাংশ বিজিবি সদস্য মোতায়েনের কারণে তাঁকে জবাবদিহিও করতে হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তে বিএসএফকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সার্বিক নিরাপত্তা ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয় বিজিবি সদর দপ্তর পিলখানায়। সাংবাদিকদের করা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ডিজি এসব কথা বলেন।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ডিজি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বিজিবির একজন সদস্য নিহত এবং ১০৩ জন সদস্য আহত হয়েছেন। র‌্যাবে দুজন বিজিবি সদস্য ডেপুটেশনে ছিলেন, তাঁরা ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত হয়েছেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১০৩ জন সদস্যের মধ্যে বেশ কিছু সদস্য আহত হয়েছেন পুলিশের ছররা গুলিতে। একই জায়গায় ডিউটি করাকালীন এমন ঘটনা ঘটে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিজিবির কোনো অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট হয়নি। তবে বেশ কিছু গাড়ি পুড়ে গেছে।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি বলেন, বিজিবির জনবল প্রায় ৫৭ হাজার। পুরো বিজিবি সদস্যের ৬ শতাংশের কিছু বেশি আন্দোলনের সময় মোতায়েন ছিল। কেন এত কম মোতায়েন হয়েছে সে জন্য আগের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আগের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের নেতাদের কাছে কৈফিয়ত ও জবাবদিহি দিতে হয়েছে অসংখ্যবার।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">তিনি আরো বলেন, পুলিশের চেয়ে বিজিবির ১৫ থেকে ২০ গুণ মারণাস্ত্র বা আগ্নেয়াস্ত্র আছে। বিজিবির কাছে লাইট মেশিনগান, মেশিনগান, মর্টার, গ্রেনেড, রকেট বিধ্বংসী কয়েক প্রকারের অস্ত্র রয়েছে; এগুলোর কোনোটাই ছাত্র আন্দোলনে ব্যবহার করা হয়নি। কারণ কখনো সীমান্তে যুদ্ধ পরিস্থিতি হলে প্রতিরক্ষা বাহিনীর অধীন থেকে প্রথম যুদ্ধ প্রতিরোধ বিজিবিকেই করতে হবে।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিএসএফকে ছাড় নয় : </span></span></strong><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এক</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> প্রশ্নের জবাবে ডিজি বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সীমান্ত রক্ষার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। বিএসএফকে আমরা কোনো ধরনের ছাড়, যেটা নিয়ম-নীতির বাইরে, আমরা দেব না, এটুকু আশ্বাস দিতে চাই।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর কি সীমান্তে ভারতের মনোভাব বদলেছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিজি আশরাফুজ্জামান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">যেসব মাইনরিটি আছে, তারা চলে যেতে পারে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">—</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রথম থেকে এ ধরনের একটি অপপ্রচার ছিল। তখন আমরা দেখতে পেয়েছি, বিএসএফ তাদের ক্যাম্পগুলোতে জনবল বাড়িয়েছে, তারা অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে যেখানে ভারতীয় সেনাবাহিনী আসার কথা নয়, দূরে থাকার কথা, সেসব জায়গায় সেনাবাহিনীর মুভমেন্ট আমরা প্রত্যক্ষ করেছি ওই সময়গুলোতে। এসব বিষয়ে লিখিত ও মৌখিক প্রতিবাদ জানানো হয়।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"> </p>