<p>ফিলিপাইনের রাজধানীতে একটি উপকূলীয় শহরের সবচেয়ে বড় বস্তি এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২ হাজার পরিবার গৃহহীন হয়ে পড়েছে। প্রায় আট ঘন্টা ধরে সেখানে আগুন জ্বলে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।</p> <p>ম্যানিলা দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং ব্যবস্থাপনা অফিসের ড্রোন দিয়ে তোলা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ম্যানিলার টোন্ডোতে অবস্থিত ইসলা পুটিং বাটোতে অবস্থিত ঘনবসতিপূর্ণ বস্তিতে টিনের বাড়িগুলো আগুনে পুড়ে গেছে। স্থানীয় সময় গতকাল রবিবার এই ঘটনা ঘটে বলে সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।</p> <p><img alt="ট" height="600" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/11/25/my1153/Untitled-13.jpg" width="1000" /></p> <p>ম্যানিলা ফায়ার ডিস্ট্রিক্ট জানিয়েছে, গতকাল রবিবার সকাল ৮টায় আগুন লাগে এবং জ্বলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এর ফলে প্রায় ১ হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যায় এবং প্রায় ৮ হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে।</p> <p>কর্তৃপক্ষ এখনও আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান করছে। তবে ম্যানিলার বস্তিতে প্রায়ই ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক তার বা গ্যাস সিলিন্ডারের কারণে আগুন লাগে। দেশটির টোন্ডো জেলায় অবস্থিত ইসলা পুটিং বাটো ম্যানিলার বৃহত্তম বস্তি এলাকা। সেখানে প্রায় ৬ লাখ ৫৪ হাজার ২২০ জন মানুষের বসবাস। ব্যস্ত বাণিজ্যিক বন্দরের কাছে ঘনবসতিপূর্ণ এই বস্তির রাস্তাজুড়ে ছোট ছোট খুপরি ঘরের মধ্যে অনেকের বসবাস।</p> <p>বিভিন্ন ছবিতে দেখা গেছে, বস্তির বাসিন্দারা ভেলায় চড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন এবং অন্যরা তাদের জিনিসপত্র উদ্ধারের চেষ্টা করে যাচ্ছে। </p> <p><img alt="্" height="600" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/11/25/my1153/Untitled-12.jpg" width="1000" /></p> <p>এলভিরা ভালদেমোরো নামের ৫৮ বছর বয়সী ম্যানিলার বাসিন্দা জানান, তার দোকান ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখন কোন জীবিকা নেই, বাড়ি নেই। সব শেষ হয়ে গেছে। আমরা জানি না কিভাবে খাবার পাব। আমরা খুব খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে আছি।’</p> <p>ম্যানিলার মেয়র মারিয়া শিলাহ সোমবার ইসলা পুটিং বাটো পরিদর্শন করেছেন এবং অস্থায়ী তাঁবুতে রাত কাটানো বেঁচে যাওয়া লোকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা আপনাদের সবাইকে সাহায্য করব। আশা হারাবেন না। আসুন আমরা ক্রিসমাসের আগে একে অপরকে সাহায্য করি।’</p> <p>সূত্র : সিএনএন</p>