<p>ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং, সংক্ষেপে এমআরআই। মানুষের শরীরের ভেতরের বিভিন্ন অংশের ছবি তোলার অত্যাধুনিক একটি পদ্ধতি। এক্স-রে, আলট্রাসাউন্ড ও সিটি স্ক্যানার ব্যবহার করে ভালো ছবি পাওয়া যায়। কিন্তু আরো উচ্চমানের ছবির দরকার হলে এমআরআইয়ের বিকল্প নেই।</p> <p>সিটি স্ক্যানার ও এক্সরে থেকে প্রচুর ক্ষতিকর তেজস্ক্রিয় রশ্মি নির্গত হয়। এমআরআইয়ে সে ঝুঁকি নেই। এই পদ্ধতিতে চৌম্বকক্ষেত্র ও বেতার তরঙ্গ ব্যবহার করে আমাদের শরীরের হাইড্রোজেন পরমাণুর মধ্যে ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স বা চুম্বকীয় অনুনাদ কাজে লাগানো হয়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ফোঁড়া কেন হয়? ফোঁড়া হলে কী করবেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/25/1732515148-e9174a93b848056f7d6b04a8c95a71f2.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ফোঁড়া কেন হয়? ফোঁড়া হলে কী করবেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/25/1450414" target="_blank"> </a></div> </div> <p>পদার্থবিদ ও প্রকৌশলীরা কোয়ান্টামের মৌলিক নীতি কাজে লাগিয়ে এমআরআই তৈরি করেছেন। প্রোটনই এর নায়ক। কোষ, হাড়সহ দেহের সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গে রয়েছে পরমাণু। তার ভেতরে প্রোটন। চুম্বকক্ষেত্র পেলেই প্রোটন কাঁপতে শুরু করে এবং একটা নির্দিষ্ট কম্পাঙ্কে ঘুরতে থাকে।</p> <p>এই অবস্থায় প্রোটনটার ওপর বেতার তরঙ্গ ফেলা হয়। ফলে প্রোটনের কম্পাঙ্ক আর বেতার তরঙ্গের কম্পাঙ্ক মিলে একটা রেজোনেন্স বা অনুনাদ তৈরি করে। বেতার তরঙ্গ দেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। কিছুক্ষণ পর বেতার তরঙ্গ সরিয়ে নেওয়া হয়। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রোটন আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসে। এই সময়টা বলে রিলাক্সেশান টাইম।</p> <figure class="image"><img alt="এমআরআই স্ক্যানার দেহের বিভিন্ন অঙ্গের সূক্ষ্ম ও খণ্ড খণ্ড ছবি তোলে। এরপর সেগুলো জুড়ে একটা পূর্ণাঙ্গ চিত্র গঠন করে।" height="750" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/share/photo/shares/online/2024/11/25/my1182/mri 2.jpg" width="600" /> <figcaption>এমআরআই স্ক্যানার দেহের বিভিন্ন অঙ্গের সূক্ষ্ম ও খণ্ড খণ্ড ছবি তোলে। এরপর সেগুলো জুড়ে একটা পূর্ণাঙ্গ চিত্র গঠন করে</figcaption> </figure> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের কথা" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/21/1732182689-a3ddddf41c9ebb48df80f10ea54cd790.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপের কথা</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/21/1449079" target="_blank"> </a></div> </div> <p>স্বাভাবিক কোষ আর টিউমার কোষে এই রিলাক্সেশান টাইমের পার্থক্য থাকে। দেহের একেক টিস্যুর রিলাক্সেশান টাইম ভিন্ন ভিন্ন। তাই রিলাক্সেশান টাইম গণনা করেই একটা সফটওয়্যার বিভিন্ন অঙ্গের ছবি তৈরি করে।<br /> শুরুতে এমআরআইকে এনএমআরআই (NMRI) বলা হতো।</p> <p>অর্থাৎ নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রেজোনেন্স ইমেজিং। নিউক্লিয়ার শব্দটিকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ ‘নিউক্লিয়ার’ শব্দটির প্রতি সামাজিক ভীতি রয়েছে। শব্দটা শুনলেই অনেকের চোখে হিরোশিমা-নাগাসাকির ধ্বংসাত্মক চিত্র ভেসে ওঠে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="হাঁপানি থেকে বাঁচার ১০ উপায়" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/21/1732165860-4dae23ba8ec6c3c3eda60a806c0d3267.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>হাঁপানি থেকে বাঁচার ১০ উপায়</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/21/1449023" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এমআরআই স্ক্যানার কোয়ান্টামের প্রক্রিয়ায় কাজ করে। এটি আমাদের দেহের ভেতরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও টিস্যুর উচ্চমানের ছবি তুলতে পারে, যা অনেক রোগ ও আঘাতের চিকিৎসায় বিপ্লব ঘটিয়েছে।</p> <p>এমআরআইয়ের একটি সংস্করণ ফাংশনাল এমআরআই (fMRI)। আমরা যখন আমাদের শরীরের কোনো অংশ নড়াচড়া করি বা প্রতিক্রিয়া জানাই, তখন মস্তিষ্কের কোন অংশটি সক্রিয় হয়— তা ফাংশনাল এমআরআই স্ক্যানারে দেখা যায়।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ছে, করণীয় কী?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/19/1732020874-9652aeb3c4059934701ca8a52516f6fc.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>রক্তে কোলেস্টেরল বাড়ছে, করণীয় কী?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/19/1448410" target="_blank"> </a></div> </div> <p>এটি মস্তিষ্কের অস্ত্রপচারেও ব্যবহৃত হয়, যেন সার্জনরা টিউমার সরাতে গিয়ে সুস্থ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত না করেন। এই স্ক্যনারের সাহায্যে আলঝেইমার ও মাল্টিপল ক্লেরোসিস রোগ সম্পর্কেও অনেকটা সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া গেছে। খুলেছে চিকিৎসার পথ।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="টিউমার কখন ক্যান্সারে রূপ নেবে, কিভাবে বুঝবেন?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/11/20/1732105389-0330c0649d3a11b4c27a315e9ab14249.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>টিউমার কখন ক্যান্সারে রূপ নেবে, কিভাবে বুঝবেন?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/science/2024/11/20/1448787" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>সম্পর্কিত তত্ত্ব</strong><br /> কোয়ান্টাম স্পিন<br /> সুপারকনডাক্টর</p> <p>জীবনী<br /> <strong>হেইক কামেরলিং ওনেস</strong><br /> ১৮৫৩-১৯২৬<br /> নোবেল বিজয়ী ডাচ পদার্থবিদ, সুপারকনডাক্টিভিটির আবিষ্কারক।</p> <p><strong>পল সি লতেরবার এবং স্যার পিটার ম্যানসফিল্ড</strong><br /> ১৯২৯-২০০৭ এবং ১৯৩৩-২০১৭<br /> যথাক্রমে মার্কিন ও ইংরেজ পদার্থবিদ, এমআরআই স্ক্যানারের উন্নতি সাধন করার জন্য ২০০৩ সালে চিকিৎসা বিজ্ঞানে নোবেল পান।</p> <p><strong>বর্ণনা</strong><br /> শ্যারন অ্যান হলগেট<br />  </p>