<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">একই সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত হয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">গতকাল সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে দুই শিক্ষক, সাত কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৭২ জন শিক্ষার্থীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপাচার্য বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ববিদ্যালয়ে সবার নৈতিক শৃঙ্খলার তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সিট বাণিজ্য ও হল দখলকারী লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী কোনো শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন না। তবে, ছাত্রসংসদ কার্যকর থাকবে, সে বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span> </span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এর আগের সিন্ডিকেট সভায় আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তাদের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি মশিউর রহমান, লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মণ্ডলসহ সাতজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">উপাচার্য শওকাত আলী জানান, ঘটনার পর থেকে শতাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুপস্থিত আছেন। তাঁদের ছুটি নামঞ্জুর করে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। অনুপস্থিত থাকায় তাঁদের বেতনও কাটা হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">জানা গেছে, হামলাকারীর তালিকায় চার কর্মকর্তার মধ্যে রয়েছেন কেন্দ্রীয় ভাণ্ডারের সহকারী রেজিস্ট্রার হাফিজুর রহমান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের উপরেজিস্ট্রার মাহবুবা আক্তার, প্রক্টর অফিসের রাফিউল হাসান রাসেল, নিরাপত্তা শাখার উপরেজিস্ট্রার তৌহিদুল ইসলাম জনি, কর্মচারী আমির হোসেন, আমিকুন্নাহার টুকটুকি ও নুরনবী।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">হামলাকারীর তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান শামীম, দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেন, সহসভাপতি বিধান বর্মণ, রেজওয়ান-উল-আনাম তন্ময়, তানভীর আহমেদ, শাহীন আলম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাকিব-আল-হাসান, ধনঞ্জয় কুমার দাস টগর, সেজান আহমেদ (আরিফ), মৃত্যুঞ্জয় রায়, সুদীপ্ত সরকার বাঁধন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মেজবাউল সরকার জয়, ইমরান চৌধুরী আকাশ, কফি আনান মান্নান, মুসান্নাবিন আহম্মেদ নাবিল, আবু সালেহ নাহিদ, মাসুদুল হাসান, হাবিবুর রহমান জামাল, এস এম লাবু ইসলাম, সেজান আহমেদ ওরফে আরিফ প্রমুখ।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">শিক্ষার্থীদের তিন ক্যাটাগরিতে শাস্তি দেওয়ার কথা জানিয়েছেন উপাচার্য। এর মধ্যে  যাঁদের শিক্ষাজীবন শেষ হয়েছে এবং সার্টিফিকেট নিয়ে গেছেন তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। যাঁদের এখনো ছাত্রত্ব আছে তাঁদের মধ্যে যারা আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন তাঁদের এক ধরনের শাস্তি এবং যাঁরা আসেননি তাঁদের আরেক ধরনের শাস্তি দেওয়া হবে। ছাত্রত্ব বাতিল, এক-দুই কিংবা তিন সেমিস্টার বাতিল করা হবে। তবে জড়িতদের সংশ্লিষ্টতা বিশ্লেষণ করে শাস্তির সিদ্ধান্ত নেবে শৃঙ্খলা কমিটি।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বেরোবির বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক শাহরিয়ার সোহাগ বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এই সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ঐতিহাসিক। তথাকথিত নেতৃত্ব তৈরির জন্য ক্যাম্পাসে সন্ত্রাসবাদী রাজনীতি আমরা চাই না।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"> </p>