<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ ১১টি রাজনৈতিক দলকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা ও এসব দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।  </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. সারজিস আলমসহ তিনজন গত রবিবার (২৭ অক্টোবর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করেন। অন্য দুই আবেদনকারী হলেন মো. আবুল হাসনাত ও মো. হাসিবুল ইসলাম। ভবিষ্যতে সব ধরনের নির্বাচনে এসব দল যাতে অংশ নিতে না পারে, সে নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে রিটে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নির্বিচার হত্যা, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা এবং অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখলের জন্য এসব দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না মর্মে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে রিটে। একই সঙ্গে পরবর্তী সব ধরনের নির্বাচনে এসব দলকে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে প্রশ্নেও রুল চাওয়া হয়েছে। আইনসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, নির্বাচন কমিশন ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজি) বিবাদী করে তাঁদের প্রতি এই রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (এরশাদ), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাতীয় পার্টি (আনোয়ার হোসেন মঞ্জু), বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিকল্প ধারা বাংলাদেশ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি), দিলীপ বড়ুয়ার সাম্যবাদী দল ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলকে (বাসদ) বিবাদী করা হয়েছে রিটে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">একই দিন এই তিনজন হাইকোর্টে আরেকটি রিট আবেদন করেন। দ্বিতীয় রিটে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগসহ ১১টি রাজনৈতিক দলের মনোনয়নের অধীনে তথাকথিত নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের প্রাপ্ত সুবিধা (প্লট, কর ও শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি, বেতন-ভাতা) পুনরুদ্ধারের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগসহ ১১টি রাজনৈতিক দলকে এ রিটেও বিবাদী করেছেন তিন রিট আবেদনকারী। এসব দলের সঙ্গে আইনসচিব, নির্বাচন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষকে বিবাদী করে তাদের প্রতি নির্দেশনা ও রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে রিটে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ এবং চলতি বছর ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে রিটে। একই সঙ্গে গেজেট জারির মাধ্যমে এই তিনটি সংসদ নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে প্রশ্নেও রুল চাওয়া হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিগত তিনিটি সংসদ নির্বাচনে তথাকথিত নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হবে না, সে প্রশ্নে রুল চেয়েছেন আবেদনকারীরা। পাশাপাশি তথাকথিত নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের প্রাপ্ত সুবিধা (প্লট, কর ও শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানি, বেতন-ভাতা) পুনরুদ্ধারের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না মর্মেও রুল চাওয়া হয়েছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বিচারপতি ফাতেমা নজিব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী আহসানুল করিম। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শুনানির আগে রিট আবেদনটির কিছু বিষয় সংশোধন করা হতে পারে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রিট আবেদনকারী সারজিস আলম গতকাল তাঁর ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় বলেন, প্রসেসটি শেষ হয়নি। এটি মঙ্গল অথবা বুধবার  কমপ্লিট করা হতে পারে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, সংশোধনীতে বিবাদী দলগুলোর নামে ও সংখ্যায় কিছুটা পরিবর্তন আসতে পারে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ কালের কণ্ঠকে বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আজ (সোমবার) রিট আবেদন দুটি শুনানির জন্য বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের হাইকোর্ট বেঞ্চে (মেনশন) উত্থাপন করেছিল রিটকারী পক্ষ। তখন আদালত বলেন, রিট আবেদন দুটিতে সাংবিধানিক বিষয় জড়িত। জ্যেষ্ঠ কোনো হাইকোর্ট বেঞ্চে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে আদালত রিট আবেদন দুটি আউট অব লিস্ট (কার্যতালিকা থেকে বাদ) করে দেন।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><strong><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">যা বলা হয়েছে রিটে</span></span></span></span></span></strong></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বৈরাচার আখ্যায়িত করে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধের রিট আবেদনে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী দলগুলো জুলাই হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করেছে। এতে হাজারেরও বেশি ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ৪০০ শিক্ষার্থী দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন। ২০ হাজারের বেশি লোক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, আন্দোলন দমাতে ১১ হাজারের বেশি লোককে অবৈধভাবে আটক করা হয়েছিল। ইউনিসেফের তথ্য মতে, এই আন্দোলনে নিষ্পাপ ৩২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া শেখ হাসিনা ও তাঁর সহযোগীরা সংঘটিত হত্যাকাণ্ড এবং নৃশংসতার প্রকৃত তথ্য প্রচারে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছিলেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ এবং এই দলের সহযোগী সংগঠনগুলো হত্যা, গণগ্রেপ্তার, হামলা, কাল্পনিক মামলা, গুম, হত্যাসহ অসাংবিধানিক উপায় অবলম্বন করেছে, যা রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট সহিংসতা ও দমন-পীড়ন এবং সন্ত্রাস। সে কারণে এসব দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ এবং দলগুলোকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা করা প্রয়োজন। শুধু তা-ই নয়, আসন্ন কোনো নির্বাচনে এসব দলকে অংশগ্রহণ থেকেও বিরত রাখা জরুরি। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রিটে আরো বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ স্পষ্টতই সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ড কারে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো ক্ষুণ্ন করেছে। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে সহিংসভাবে দমন করেছে, নির্বাচনে কারচুপি করেছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব করেছে এবং দলটি জাতির গণতান্ত্রিক ঐক্য এবং শৃঙ্খলাকে ধ্বংসের কাজে লিপ্ত ছিল। আর গণতন্ত্রবিরোধী লক্ষ্য অর্জনের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহারের পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে ব্যবহার করেছে; সাংবিধানিক নীতি ও গণতন্ত্রের জন্য যা মারাত্মক হুমকি।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের সংঘটিত নৃশংসতা সংবিধানের ৩২ ও ৩৭ অনুচ্ছেদে দেওয়া নাগরিকের জীবন ও সমাবেশ করার অধিকারসহ মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রিট আবেদনে বলা হয়েছে, গণ-অভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ বিচারবহির্ভূতভাবে নিরপরাধ বিক্ষোভকারীদের হত্যা করেছে এবং আন্দোলনকারীদের গুম করার নির্দেশ দিয়েছিল, যা সংবিধানের ৩৩ ও ৩৯ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ ইচ্ছাকৃতভাবে শিশুসহ দুর্বল জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্যবস্তু করেছে, যা ২৭ অনুচ্ছেদে উল্লেখিত সমতার নীতি লঙ্ঘন করেছে। এসব কর্মকাণ্ড স্থায়ীভাবে বন্ধ করে সাংবিধানিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার এবং জীবন রক্ষার স্বার্থেই আওয়ামী লীগসহ সহযোগী দল ও সংগঠনগুলোর কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ হওয়া দরকার।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><strong><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ছিল একতরফা  </span></span></span></span></span></strong></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">রিটে বলা হয়, শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট, নির্বাচন কমিশন, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কারসাজি করে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচন আয়োজন করেছিল। তিনটি নির্বাচনের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের কোনো আস্থা ছিল না। এর ফলে রাষ্ট্রের মালিক জনগণের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে সংবিধানের ১৩ অনুচ্ছেদকে লঙ্ঘন করেছে। তা ছাড়া এই তিনটি জাতীয় নির্বাচনই ছিল প্রহসনমূলক, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের জন্য। ফলে এই তিনটি নির্বাচনকে আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা প্রয়োজন। তা না করা হলে তিনটি নির্বাচনকেই বৈধতা দেওয়া হবে। এই তথাকথিত তিনটি নির্বাচনই ছিল একতরফা, দেশে-বিদেশে যার কোনো বৈধতা ছিল না। রিটে বলা হয়েছে, গণতন্ত্র হলো সংবিধানের মৌলিক স্তম্ভ। সংবিধানের ১০ অনুচ্ছেদে সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। আর ১১ অনুচ্ছেদে মৌলিক মানবাধিকারকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। এই তিনটি তথাকথিত জাতীয় নির্বাচন এবং এর তথাকথিত নির্বাচিতরা সংবিধানের এসব বিধানকে লঙ্ঘন করেছেন। </span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p><strong><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এর আগে খারিজ হয়েছিল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাওয়ার রিট</span></span></span></span></span></strong></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এর আগে কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের আন্দোলনে নির্বিচার হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ এবং দলটির নিবন্ধন বাতিল চাওয়া রিট করেছিলেন </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">সারডা সোসাইটি</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> নামে একটি সংগঠনের পক্ষে এর নির্বাহী পরিচালক আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া। গত ১৯ আগস্ট রিটটি করার পর দুই দফা শুনানি হয়। আবেদনকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া নিজেই রিটের পক্ষে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছিলেন, কর্তৃত্ববাদী আওয়ামী লীগ সরকারের যেসব নেতাকর্মী অপরাধে জড়িয়েছেন, তাঁদের বিচারের ব্যাপারো কোনো দ্বিমত নেই। তাঁদের অপরাধের বিচার রাষ্ট্র করবে। কিন্তু সেই অপারাধের বিচারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে, এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মনে করে না। সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তা সমর্থনও করে না। তাই সরকারের অবস্থান আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">শুনানির পর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১ সেপ্টেম্বর রিটটি সরাসরি খারিজ করে দেন। তবে গত ২৩ অক্টোবর আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।  </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী দলগুলোর বিরুদ্ধে গত ২ অক্টোবর আওয়ামী লীগ ও দলটির রাজনৈতিক মিত্র ১৪ দলের শরিক দলগুলোর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের কাছে আবেদন করা হয়। আবেদনটি করেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার নেই</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span> </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার নেই। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর লগি-বৈঠার তাণ্ডবে নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা এবং  দোয়া মাহফিলে তিনিএ কথা বলেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আলোচনাসভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">আমরা বলতাম হাসিনাবিহীন বাংলাদেশ চাই, আজকে হাসিনাবিহীন বাংলাদেশ  পেয়েছি, এখন আওয়ামীবিহীন বাংলাদেশ করতে হবে।</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span>   </span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের পক্ষে গতকাল বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছিল। মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিল না, কথা বলতে ভয় পেত। সম্প্রতি শেখ হাসিনার একটি অডিও ফাঁস হয়েছে। যেখানে বলা হচ্ছে তিনি ডিসেম্বরে দেশে প্রবেশ করে আবার হত্যাযজ্ঞ চালাবেন। আমাদের দাবি, এই মাফিয়াতন্ত্রকে দেশের মাটিতে নিষিদ্ধ করতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">গতকাল  জাতীয়  প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির আয়োজিত </span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">‘</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">মাফিয়াতন্ত্রের দিনলিপি</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif""><span style="color:black">’</span></span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black"> শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুর প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"><span style="color:black">এদিকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে গতকাল প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব  মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, সরকার শুধু বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর  কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারে এই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।</span></span></span></span></span></p> <p> </p> <p> </p>