<p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রাচীন রোমান নগরী পম্পেই। পরিকল্পিত নগরীটি চাপা পড়েছিল পাশের ভিসুভিয়াস আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সৃষ্ট জ্বলন্ত লাভার নিচে। বর্তমান ইতালির কাম্পানিয়া অঞ্চলের সেই পম্পেই নগরীতে ছোট্ট একটি বাড়ি আবিষ্কার করেছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। বাড়িটির দেয়ালে নানা রকমের দেয়ালচিত্র রয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, রোমানরা নিজেদের ঘরের দেয়াল আকর্ষণীয় করতে এ ধরনের দেয়ালচিত্র আঁকত।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পম্পেই প্রত্নতাত্ত্বিক উদ্যান কর্তৃপক্ষ গত বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাড়িটি সচরাচর অন্য সব বাড়ির তুলনায় ছোট। ঘরগুলোও ছোট আকারের। কিন্তু তাতে রোমানদের রুচির নিদর্শন ফুটে উঠেছে। খ্রিস্টীয় প্রথম শতাব্দীতে পম্পেই শহরের বাড়ির দেয়ালে প্রেমময় ঘরানার এসব দেয়ালচিত্র বানানোর প্রচলন ছিল।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">৭৯ খ্রিস্টাব্দে ভিসুভিয়াস পর্বতে আগ্নেয়গিরির দুই দিনব্যাপী সর্বনাশা অগ্ন্যুৎপাতে পম্পেই নগরী সম্পূর্ণভাবে পুড়ে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ৬০ ফুট উঁচু ছাই ও ঝামা পাথরের নিচে শহরটি চাপা পড়ে যায়। তবে সেই আবরণের নিচে শত শত বছর শহরটি চাপা পড়ে থাকার পর সুরক্ষিত অনেক কিছুই আবিষ্কৃত হচ্ছে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোর অন্যতম হয়ে উঠেছে রোমানদের দৈনন্দিন জীবনের অভূতপূর্ব বিষয় উন্মোচনের মধ্য দিয়ে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সদ্য আবিষ্কৃত বাড়িটির দেয়ালচিত্র প্রমাণ করে যে বাড়িটি ধনাঢ্য কোনো ব্যক্তির ছিল এবং তিনি বেশ সংস্কৃতিমনা ছিলেন। বাড়ির দেয়াল এভাবে সাজানোর বিষয়টি তাঁদের উন্নত রুচির পরিচায়ক। বাড়িটির দেয়ালে বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদ, হিংস্র প্রাণী ও বিষধর সাপের পাশাপাশি নর-নারীর অন্তরঙ্গ চিত্র আঁকা রয়েছে। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে আঁকা ছবিও সেখানে বিদ্যমান।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রত্নতাত্ত্বিকরা বলছেন, দেয়ালচিত্রের নারী ও পুরুষ আসলে রোমানদের বিশ্বাস অনুসারে একজন প্রেমের দেবী এবং অন্যজন তার প্রেমিক। খননকাজের সময় দেয়ালচিত্র কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও সেটি স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। নিপুণ হাতে তুলির আঁচড়ে দুই হাজার বছরের বেশি সময় আগে এগুলো আঁকা হয়েছে। এত বছর ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়েও সেগুলো অক্ষত রয়েছে।</span></span></span></span></span></p> <p style="text-align:left"><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">পম্পেই প্রত্নতাত্ত্বিক উদ্যানের পরিচালক গ্যাব্রিয়েল জুকট্রিগেল বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের এখানে প্রত্নতাত্ত্বিক, পুনরুদ্ধারকারী, জীবাশ্ম বিশেষজ্ঞরা আছেন। আগ্নেয়গিরির কারণে সব কিছু চাপা পড়ার আগে পম্পেইয়ের বাসিন্দাদের জীবন কেমন ছিল, তারা তা বোঝার চেষ্টা করছেন। সূত্র : সিএনএন</span></span></span></span></span></p> <p> </p>