<p>দীর্ঘ ৯৭ দিন বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে গতকাল রবিবার। বিপ্লব-পরবর্তী ক্লাসে ফেরা নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।</p> <p>সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন বাতিলসহ তিনটি দাবিতে সারা দেশে ১ জুলাই থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একযোগে  সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। কর্মবিরতির জের ধরে অঘোষিতভাবে বন্ধ থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস-পরীক্ষা। এরপর কোটা আন্দোলন দমাতে ১৭ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সারা  দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেয় তৎকালীন সরকার।</p> <p>সরকার পতনের পর ধীরে ধীরে সচল হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। দাপ্তরিক কার্যক্রম আগে শুরু হলেও ক্লাস শুরু হয় গতকাল। এর আগে গত শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোর আসন বরাদ্দ দেয় প্রশাসন। ফলে প্রায় সাত বছর পর বৈধভাবে হলে উঠছে শিক্ষার্থীরা। এর আগে হলের নিয়ন্ত্রণ ছিল ছাত্রলীগের হাতে। ছাত্রলীগ ঠিক করত হলে কারা থাকবে।</p> <p>ক্লাস চালুর প্রথম দিন গতকাল সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে  ‘লাল ব্যাজ’ পরে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সমবেত হয়ে নিজ নিজ ধর্ম অনুসারে প্রার্থনা করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ- উপাচার্য, প্রক্টর, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।</p> <p>প্রক্টর অধ্যাপক ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে নিরাপত্তাজনিত ব্যাপার দেখভাল করার জন্য নিরাপত্তা দপ্তরের নিজস্ব কর্মীরা নিয়োজিত ছিলেন। পাশাপাশি প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ একাধিক স্থানে সচেষ্ট ছিল। হলের আসন বরাদ্দের কাজও শেষ হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অভিযোগ রয়েছে, যা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করা হবে। সব মিলিয়ে আশা করি আজ থেকে প্রাণবন্ত ক্যাম্পাসের যাত্রা শুরু হবে।’</p> <p>উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইযাহইযা বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন পর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে পেরে আনন্দিত। এতগুলো মাস পর শিক্ষার্থীদের মধ্য বাঁধভাঙা আনন্দ দেখতে পাচ্ছি। অপরদিকে ফ্যাসিস্ট সরকারের রেখে যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনেক কাজ বাকি রয়েছে। আমরা সব সেক্টর আস্তে আস্তে ঠিক করার চেষ্টা করব।</p>