<p>দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং সিটিজেন ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে তৌফিকা করিমের মাধ্যমে আনিসুল হক কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করতেন।</p> <p>রবিবার (৬ অক্টোবর) দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম এই তথ্য জানান।</p> <p>তিনি বলেন, তৌফিকা করিমের নামে-বেনামে দেশে-বিদেশে অঢেল সম্পদ রয়েছে। তৌফিকা করিম সিটিজেন চার্টার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন, ফলে তার মাধ্যমে আনিসুল হক কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে কোটি কোটি টাকা পাচার করতেন। তিনি নিম্ন আদালতের অধিকাংশ কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে জনপ্রতি ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণ করতেন। তার সব দুর্নীতির সঙ্গে তৌফিকা করিমের সংশ্লিষ্টতা ছিল বলে দুদকের গোপন অনুসন্ধানে জানা গেছে।</p> <p>দুদকের এই কর্মকর্তা জানান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সিটিজেন ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে অর্থপাচারসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। </p> <p>আনিসুল হক মন্ত্রী থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রচুর পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। নিজ নামে কসবা, ত্রিশাল ও পূর্বাচলে ৬ দশমিক ৮০ একর জমি কিনেছেন। সিটিজেন ব্যাংক ও এক্সিম বাংলাদেশে তার শেয়ারের পরিমাণ ৪০ লাখ ১০ হাজার। সঞ্চয়পত্র, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা এবং অন্যান্য বিনিয়োগ ২৩ কোটি ২৬ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৪ টাকা। তার ৪টি গাড়ি ও ১টি মোটরসাইকেল রয়েছে।</p> <p>আনিসুল হক ও তৌফিকা করিম এবং তাদের অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন নামে-বেনামে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রচুর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ ছাড়াও বিদেশে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার করেছেন মর্মে গোয়েন্দা অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সঠিক পরিলক্ষিত হওয়ায় প্রকাশ্য অনুসন্ধানের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।</p>