<p>মানিকগঞ্জের সিংগাইরে নিজ ঘরের শয়ন কক্ষের সিন্দুকের ভেতর থেকে হায়াতুন নেছা (৬০) নামে এক বৃদ্ধার মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। রবিবার (৬ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে পৌরসভার নয়াডিঙ্গি গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। হায়াতুন নেছা ওই গ্রামের মাহমুদ কাজীর স্ত্রী। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সৌদি আরব প্রবাসী ছেলের বউ রুনা বেগম (২৮) ও শাশুড়িকে আটক করেছে পুলিশ। </p> <p>থানা পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সৌদি আরব প্রবাসী আব্দুল খালেকের স্ত্রী ও তার মা হায়াতুন নেছা নিজ বাড়িতে বসবাস করতেন। প্রায়ই শাশুড়িকে না বলে ছেলের বউ রুনা বেগম তার বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে যেতেন। বাড়ির বাইরে যেতে তাকে বারণ করলেও শাশুড়ির কথা আমলে নেননি তিনি। উল্টো আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। এ নিয়ে বউ শাশুড়ির মধ্যে একাধিবার ঝগড়া হয়। শনিবার সন্ধ্যার পর হায়াতুন নেছা হঠাৎ নিখোঁজ হন। তাকে কোথাও খোঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। </p> <p>রবিবার (৬ অক্টোবর) সকালে ছেলের বউ রুনা বেগম ও বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। বিকেল বেলা তার মাকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে আসেন রুনা বেগম। তাদের কথাবার্তা ও আচরণে সন্দেহ হয় স্বজনদের। একপর্যায়ে চাপের মুখে শাশুড়িকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেন ছেলের বউ। তার কথা মতে সন্ধ্যার পর শয়ন কক্ষে রাখা সিন্দুকের ভেতর থেকে হায়াতুন নেছার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসময় গ্রামবাসীর সহযোগীতায় রুনা বেগম ও তার মাকে আটক করে থানা পুলিশকে জানান স্বজনরা।</p> <p>থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে নিহত বৃদ্ধা হায়াতুন নেছার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছেলের বউ রুনা বেগম ও তার মাকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।</p>