<p>ভারতে পালানোর সময় ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে আটক করেছে বিজিবি।</p> <p>রবিবার (৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার শ্রীনাথপুর সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ সময় এক নারীসহ আরো তিনজনকে আটক করে বিজিবি।</p> <p>মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ্ মো. আজিজুস শহীদ সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্রকে আটকের বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।</p> <p>কিভাবে তিনি সীমান্তে এলেন বিজিবির এমন জিজ্ঞাসাবাদে নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বলেন, ‘আমি যশোর থেকে এসেছি। একটি প্রাইভেটকারে মহেশপুরে এসেছিলাম। মহেশপুর থেকে ভ্যানে করে এই সীমান্তে আসি।’ </p> <p>তিনি সেখানে শিক্ষক পরিচয় দিয়েছেন বলে বিজিবির একটি সূত্র জানিয়েছেন।</p> <p>সেসময় ভারতে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমার হার্টের সমস্যা। হার্টে রিং পরানো আছে। আমার পাসপোর্ট বাতিল হয়ে গেছে। পাসপোর্ট করতেও পারছি না। এ কারণে চিকিৎসা করানোর জন্য এ সীমান্তে এসেছি।’</p> <p>এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর খুলনায় ধর্ষণের অভিযোগে নারায়ণ চন্দ্র চন্দের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলায় ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদসহ ১৮ জনকে আসামি করা হয়।</p> <p>মামলার এজাহারে বলা হয়, বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ওই তরুণীকে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণ করছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ। গত ২৭ জানুয়ারি রাতে ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়ে ওই তরুণী খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। পরদিন হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) সামনে থেকে কয়েকজন লোক তাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। মামলার বাদি অভিযোগ করেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সাবেক ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ঘনিষ্ঠ সহচর ও অনুসারী ছিলেন। </p> <p>উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দ। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে টানা তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এর আগে ২০১৪ সালের ১২ জানুয়ারি তিনি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। কিছু দিন পর মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হকের মৃত্যু হলে তিনি ওই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পান।</p>