<p><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">ফেরি বেগম রোকেয়া চরে আটকে পড়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিআইডব্লিউটিসি জানায়,  গত মঙ্গলবার রাত ২টা ৫০ মিনিটে ভোলার ইলিশা ঘাট থেকে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীর হাটে যাওয়ার সময় রহমতখালী খালের মুখে বিআইডব্লিউটিসির ফেরি বেগম রোকেয়া চরে আটকে পড়ে। ফেরিটিতে ১৩টি বড় ট্রাক, তিনটি ছোট ট্রাক, তিনটি মোটরসাইকেল ও একটি প্রাইভেট কার অবস্থান করছিল। বিআইডব্লিউটিসি জানায়, ফেরিটি তাৎক্ষণিকভাবে উদ্ধারের জন্য ফেরি কাবেরি ও বেগম সুফিয়া কামালকে নিযুক্ত করা হলেও সে সময় ফেরিটি চরামুক্ত করা সম্ভব না হওয়ায় ফেরিতে আটকে পড়া যাত্রীদের ট্রলারে করে নিরাপদ স্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়। তা ছাড়া ফেরিতে অবস্থানরত ড্রাইভার ও সহযোগীদের খাবার ও পানি সরবরাহ করা হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পূর্ণ জোয়ারের সময় ফেরিটিকে উদ্ধার করা হয়। বিআইডব্লিউটিসি জানায়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া দ্রুততার সঙ্গে চরাবদ্ধ ফেরিটি উদ্ধারের জন্য সংশ্লিষ্ট নাবিক, কমকর্তা-কমচারীদের ও স্থানীয় প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। বিষয়টি তদন্তের জন্য বিআইডব্লিউটিসি ও  বিআইডব্লিউটিএর কর্মকর্তা সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ অপ্রত্যাশিত এই দুর্ঘটনার জন্য জনসাধারণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে।</span></span></span></span></p> <p> </p>