<p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে গাঁজা, মদ, ইয়াবাসহ বেশ কিছু উচ্চমূল্যের জীবননাশক মাদকদ্রব্য। সীমান্ত হয়ে আসা বিভিন্ন মাদকদ্রব্য ব্যবসার ছোট-বড় সিন্ডিকেট ক্যাম্পাসকেন্দ্রিক গড়ে ওঠায় সেবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ পড়াশোনা থেকে দূরে সরে পড়ছেন। সব মিলিয়ে দেশের স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীদের মাদকাসক্ত হওয়ার জন্য সহজলভ্যতাকেই দাবি করেছেন শিক্ষকরা। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা, সংস্কৃতিচর্চা ও গবেষণার জায়গা। মাদকাসক্ততা হলো এগুলোর শত্রু। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাদক, ছিনতাই, দুর্বৃত্তায়ন দূর করে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কঠোর নীতি প্রয়োজন বলে মনে করেন তাঁরা। এ ছাড়া মাদক সেবন প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সচেতন হয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে বলে জানান।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রক্টরের দপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য মতে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মাদক সেবনরত অবস্থায় বহিরাগতসহ ৫৬ জন শিক্ষার্থীকে আটক করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি। পরে মুচলেকা নিয়ে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এর মধ্যে বহিরাগত রয়েছেন মাত্র পাঁচজন। এ ছাড়া মাদক বেচাকেনা ও সেবনের অভিযোগে নগরীর মতিহার থানায় মামলা করা হয় চারজনের বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রক্টরিয়াল বডির সাবেক এক সদস্য বলেন, সেবনরত অবস্থায় ছাড়াও মাদক প্রস্তুতকালে প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে গেছে প্রায় পাঁচ শতাধিকের ওপরে।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">এ ছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মাদক সেবনরত ও আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয়েছে ২৮ জনকে। এর মধ্যে ১৪ জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং ১৪ জন বহিরাগত। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনবাজার, রেললাইন, কাজলা আমজাদের মোড়, জাহাজ ঘাট, তালাইমারিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের এলাকা থেকে মাদকাসক্ত শিক্ষার্থীরা চাইলেই সহজে মাদক সংগ্রহ করতে পারেন। ক্যাম্পাসের আশপাশে বসবাসরত মানুষের এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যেতে ক্যাম্পাসই সহজ ও প্রধান রাস্তা। এ কারণে তাদের এমন অবাধ যাতায়াতে মাদক ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে ক্ষতিকর মাদক সরবরাহ করতে পারছে। </span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সর্বশেষ গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় বোটানিক্যাল গার্ডেন সংলগ্ন কলাবাগানে অভিযান চালিয়ে ৯৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য আইনে তাদের নামে মামলা হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ ছাড়া ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ক্যাম্পাসে ১২ পুঁটলি গাঁজাসহ (৩২৫ গ্রাম) আটক হন শাখা ছাত্রলীগের চার নেতা। মাদক আইনে তাঁদের নামেও মামলা করা হয়।</span></span></span></span></p> <p style="text-align:justify"><span style="font-size:11pt"><span style="font-family:"Calibri","sans-serif""><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমরা মাদক নির্মূলে করণীয় বিষয়ে আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাদকের ভয়াল থাবা থেকে বাঁচাতে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হয়, তাই করব। আমরা জেনেছি, বাহির থেকে ক্যাম্পাসে মাদক প্রবেশ করে।</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span></span></span></p>