<p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">প্রধান উপদেষ্টা নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সরকার গঠনের এক মাস পূর্তি উপলক্ষে গত ১১ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, নির্বাচনের নামে সংখ্যাগরিষ্ঠতার একাধিপত্য ও দুঃশাসন মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া বা এর মাধ্যমে এক ব্যক্তি বা পরিবার বা কোনো গোষ্ঠীর কাছে সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখা কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। নির্বাচনব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, সংবিধান ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠনের কথা ঘোষণা করেন তিনি। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী। আর সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে প্রথমে বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিকের নাম ঘোষণা করা হলেও পরে তা পরিবর্তন করে অধ্যাপক আলী রীয়াজকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, গতকাল মঙ্গলবার থেকে এসব কমিশনের কাজ শুরু করার কথা ছিল। গত সোমবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসংঘ সফর-পরবর্তী বিষয়ে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর আবার আলোচনার পর </span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">‘</span></span><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">রাষ্ট্র সংস্কার</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:"Times New Roman","serif"">’</span></span><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi"> কার্যক্রম পরিচালনার জন্য গঠিত কমিটিগুলো কাজ শুরু করবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব সংবাদ সম্মেলনে জানান</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, টেকনিক্যালি কমিশনের কাজ কিছুটা হলেও শুরু হয়েছে। পলিটিক্যাল পার্টি যেহেতু স্টেক হোল্ডার, তাদের সঙ্গে আলোচনা করে মতামত চাওয়া হবে। সম্প্রতি জাপানের টোকিওভিত্তিক নিউজ আউটলেট এনএইচকে ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে সংস্কার-নির্বাচন দ্রুতই হবে। কালের কণ্ঠে গতকাল প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, সাক্ষাৎকারে ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাজ হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার করা এবং তার ভিত্তিতে সরকার প্রস্তুত হলেই নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">মূলকথা হচ্ছে</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, সংস্কারটা খুব জরুরি দরকার। কারণ এ দেশের মানুষ গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা, সুশাসন, বৈষম্যহীন সমাজ, সমৃদ্ধি, শান্তি-শৃঙ্খলা আর ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু বারবারই আমরা দেখেছি মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটেছে। স্বেচ্ছাচারিতা, ঘুষ-দুর্নীতি, লুণ্ঠন, অর্থপাচার, আত্মসাৎ, চাঁদাবাজি, পেশিশক্তির ব্যবহার, অবৈধ কর্মকাণ্ড, বৈষম্য, মানবাধিকার লঙ্ঘন থেমে থাকেনি। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হওয়ার পর খুব স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশার পারদ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। মানুষ ভেবেছে, নতুন সরকার রাষ্ট্রযন্ত্র সংস্কার করবে। উদার, গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের ভিত রচনা করবে। একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরশাসনের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করবে। দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবে। অর্থনীতিতে আস্থা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠা করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেবে। বৈষম্যহীন সমাজ গড়বে। দারিদ্র্য নির্মূল করবে। জীবনমানের উন্নয়ন ঘটাবে। </span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">অতীত অভিজ্ঞতা পর্যালোচনা করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন</span></span><span style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">, কোনো রাজনৈতিক সরকারই জনগণের প্রত্যাশিত উদার অসাম্প্রদায়িক গণতন্ত্র; বৈষম্যহীন সমাজ; বাকস্বাধীনতা, মানবাধিকার, সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হয়নি। এ অবস্থায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই রাষ্ট্রযন্ত্রের সংস্কার সম্পন্ন করার দায়িত্ব নিতে হবে।</span></span></span></span></span></p> <p><span style="font-size:10pt"><span style="font-family:Kantho"><span style="color:black"><span dir="ltr" lang="BN" style="font-size:14.0pt"><span style="font-family:SolaimanLipi">আমাদের প্রত্যাশা যথাসময়ে সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়িত হবে।</span></span></span></span></span></p> <p> </p>