<p>প্রথমবার প্রিমিয়ার লিগে খেলবেন, দেশের সবাই চিনবে—এমন রোমাঞ্চ ঘুরপাক খাচ্ছিল ডিফেন্ডার ইমরান খানের মনে। বয়সভিত্তিক দল, চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলার পর দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ফুটবলেও নিজেকে মেলে ধরার আশায় ছিলেন তিনি। কিন্তু হায়! জমকালো নিলামে দেশের ঐতিহ্যবাহী দল ব্রাদার্স ইউনিয়ন তাঁকেসহ ছয় প্রতিভাবান উঠতি ফুটবলারকে কিনেও বাফুফের সঙ্গে আর্থিক দেন-দরবারের বিরোধে শেষ পর্যন্ত দলেই নেয়নি। মৌসুমের প্রায় অর্ধেক পেরিয়ে গেলেও ইমরান-মিরাজুলদের সময় কাটে এখন কমলাপুর স্টেডিয়ামের ডরমিটরিতে, শুধুই অনুশীলন করে।</p> <p>গত দুই মৌসুম মিরাজ, আজিজুল হক, ইমরান খান, রুবেল শেখ, সিরাজুল ইসলাম ও সুমন সরেন খেলেছিলেন চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে, বাফুফে এলিট একাডেমির হয়ে। এবার সেই লিগেও খেলা হচ্ছে না তাঁদের। সদ্য শেষ হওয়া দলবদলে এলিট একাডেমির স্কোয়াডে রেজিস্ট্রেশন হয়নি এই ছয়জনের নাম। তাতে এখানেও খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না তাঁরা। এই ছয়জনের মধ্যে পাঁচজন আবার বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) ছাত্র ছিলেন। কিন্তু শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বিকেএসপি থেকেও নিষেধাজ্ঞা জুটেছে তাঁদের। তাই আরো বেশি হতাশা চেপে ধরেছে। স্ট্রাইকার মিরাজুল যেমন বলছিলেন, ‘কী আর করব ভাই! নিয়মিত অনুশীলন করে যাচ্ছি। আমাদের জন্য হতাশার বলা যায়। অন্য কোনো ক্লাবে খেলার সুযোগ আছে, কিন্তু একাডেমি থেকে বলেছিল, যদি অন্য ক্লাবে গিয়ে খেলতে চাও তাহলে ফ্রিতে খেলতে পারো। কিন্তু ইনজুরিতে পড়লে আমরা কোনো দায়ভার নেব না।’ বিকেএসপিতেও ফিরে যাওয়ার সুযোগ না থাকায় দিশাহীন রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ইমরান খান, ‘বিপিএলে খেলতে পারলাম না, বিসিএলে রেজিস্ট্রেশন হয়নি। বিকেএসপিতেও যেতে পারছি না। এখন কী করব বুঝতে পারছি না। একটাই উপায়, লিগের দ্বিতীয় পর্বে অন্য কোনো ক্লাবে যাওয়া। এখন সেই চেষ্টাই করছি।’</p> <p>তাহলে এই খেলোয়াড়দের ভাগ্যে এখন কী আছে? এ ব্যাপারে এলিট একাডেমির দায়িত্বে থাকা বাফুফে ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার জানিয়েছেন, ‘এটা ডেভেলপমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্ত। পরবর্তী সভায় এ নিয়ে যা সিদ্ধান্ত হওয়ার সেখানেই হবে।’ এই খেলোয়াড়দের দলে নেওয়ার জন্য ২৫ জানুয়ারির মধ্যে জবাব চেয়ে ব্রাদার্সকে চিঠি দেয় বাফুফে। ব্রাদার্স অবশ্য চিঠির জবাব দিয়ে জানিয়েছে, বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সঙ্গে আলোচনা করে তারা খেলোয়াড় নিতে চায়।</p>