<p>ভালো ঘুম সুস্থ থাকার অন্যতম হাতিয়ার। রাতের ভালো ঘুম প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি করে, সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে এবং কাজে মনোযোগ বাড়ায়। কিন্তু রাত হলেই ঘুম উধাও। যার ফলে দিনের বেলা ঘুমানো, সারাদিন ঝিমুনি ভাব, কাজে মনোযোগ না দিতে পারা, সারাদিন মেজাজ খিটখিটে ও বিষণ্ণ হয়ে থাকার মত ঘটনা ঘটে থাকে। এসব হওয়ার কারণ হচ্ছে আমাদের কিছু অভ্যাস। কী সেই অভ্যাস চলুন জেনে নেওয়া যাক।</p> <p><strong>ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভারি খাবার খাওয়া</strong></p> <p>রাতের খাবার ঘুমাতে যাওয়ার ২-৩ ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত। সাধারণত বিশেষজ্ঞরা রাতের খাবার রাত ৮টার মধ্যে শেষ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভারি খাবার খেলে অ্যাসিডিটি, গ্যাস্ট্রোসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স, বুকে ব্যথা, পেটে ব্যথা হতে পারে। এটি ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। শরীরে চর্বি জমতে সাহায্য করে। তাই ঘুমাতের যাওয়ার আগে অতিরিক্ত ক্যালোরির শর্করাযুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।</p> <p><strong>অ্যালকোহল বা ক্যাফিনেটেড পান</strong></p> <p>ঘুমাতে যাওয়ার আগে অনেকেই আছেন চা বা কফি পান করতে পছন্দ করেন। এটি হলো আরেকটি বদ অভ্যাস যা আপনার রাতের ঘুমকে হারাম করে। এমনকি অ্যালকোহলও পান করা উচিত না। অ্যালকোহল আপনাকে ঘুম ঘুম ভাব দিবে কিন্তু ঠিকভাবে ঘুমাতে দিবে না। ক্যাফিনেটেড পানীয় সাধারণত ঘুমাতে যাওয়ার ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা পূর্বে পান করা উচিত। নিকোটিনও আপনার ঘুমকে নষ্ট করতে পারে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে ধূমপান করা থেকে বিরত থাকুন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস যেভাবে করবেন" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/22/1729610265-b6e0aed8c70e5c6800abd9b37605e23c.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস যেভাবে করবেন</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/10/22/1438008" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>বিছানায় কাজ করা</strong></p> <p>অনেকেই ঘুমাতে যাওয়ার আগে ল্যাপটপে পরের দিনের কাজ গুছিয়ে রাখেন কিংবা অফিসের অসমাপ্ত কাজ শেষ করেন। ল্যাপটপের আলো আপনার মস্তিষ্ককে মেলাটোনিন নিঃসরণ করতে বাধা দেয়। এছাড়া মস্তিষ্ককে সংকেত দেয় যে এখনো ঘুমানোর অনেক সময় বাকি রয়েছে, আপনি জেগে থাকুন। এই প্রক্রিয়া আপনার ঘুমের রুটিনকে বাধাগ্রস্ত করে।</p> <p><strong>মোবাইল ফোন ব্যবহার</strong></p> <p>বিছানায় শুয়ে সবার আগে আমরা মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে থাকি। এ সব ডিজিটাল ডিভাইস থেকে নির্গত নীল আলো মেলাটোনিন হরমোনের নিঃসরণে বাধা দেয়। যা স্লিপ সাইকেলে নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলে। তাই ঘুমানোর সময় যাবতীয় ডিভাইস দূরে রাখুন।</p> <p><strong>ছুটির দিনে অতিরিক্ত ঘুমানো</strong></p> <p>আমাদের মধ্যে অনেকেই ছুটির দিনে অনেক দেরিতে ঘুম থেকে উঠি। কিন্তু এর ফলে অন্যদিনের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। যা পরবর্তীতে ইনসমনিয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়, অথচ আমরা বুঝতেও পারি না। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার ও ওঠার একটি নির্দিষ্ট সময় মেনে চলুন।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="মৌসুম বদলের সময় আইসক্রিম খেতে মানা?" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/10/20/1729421649-2ddb10e0ff67ff34fad60da830917fea.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>মৌসুম বদলের সময় আইসক্রিম খেতে মানা?</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/10/20/1437166" target="_blank"> </a></div> </div> <p><strong>আরামদায়ক স্থানে না ঘুমানো</strong></p> <p>অতিরিক্ত গরম কিংবা ঠান্ডা স্থান ঘুমানোর জন্য উপযোগী নয়। আবার শব্দময় স্থানও ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। শোয়ার ঘরটি শব্দমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন। পরিবেশ অনেক বড় একটি বিষয়। আরামদায়ক বিছানা আর পরিবেশ আপনাকে কোয়ালিটিফুল ঘুম দিবে।</p> <p><strong>কঠোর ব্যায়াম করা</strong></p> <p>নিয়মিত ব্যায়াম করা শরীরের জন্য উপকারী। কিন্তু ঘুমাতে যাওয়ার আগে কঠোর ব্যায়াম করা একদম উচিত নয়। ঘুমানোর আগে এই ধরনের ব্যায়াম ঘন ঘন ঘুম ভেঙে যাওয়ার কারণ হতে পারে। এটি আপনার হার্ট রেট, ব্লাড প্রেশার আর শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে।</p> <p><strong>অযথা বিছানায় শুয়ে থাকা</strong></p> <p>ঘুম না আসলে আমরা মনে করি যে বিছানায় শুয়ে থাকলে ঘুম চলে আসবে। রাতের খাবার খেয়েই সঙ্গে সঙ্গে বেডে বিশ্রাম নিতে চলে যাই। তবে বিছানায় শুয়ে বার বার এপাশ ওপাশ ফিরলে নানা চিন্তা এসে মাথায় উঁকি দেবে। তাই এই কাজটি করা উচিত নয়। ঘুম না আসলে রিল্যাক্সিং কাজ করুন যেমন বই পড়ুন। তাও যদি ঘুম না আসে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। তবে ভুলেও মোবাইল ফোন হাতে নিবেন না।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"><strong>আরো পড়ুন</strong> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3"><img alt="যেসব কারণে ক্লান্তি আসে শরীরে" height="66" src="https://cdn.kalerkantho.com/public/news_images/2024/09/24/1727195917-3e5f8c8ae244d8b626ef22bbf7eef795.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p>যেসব কারণে ক্লান্তি আসে শরীরে</p> </div> </div> </div> <a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/lifestyle/2024/09/24/1428524" target="_blank"> </a></div> </div> <p>ভালো ঘুম কিন্তু সুন্দর একটি দিনের সূচনা করে। এটি আমাদের সবার জন্য অনেক বেশি জরুরি। নিজেদের অসচেতনতায় আমরা এই ঘুমের রুটিন নষ্ট করে থাকি। রাতের যে অভ্যাস আমাদের বদলানো উচিত, সেগুলো তো জানা হলো। একটু নিয়মানুবর্তিতা আর সচেতনতা আপনাকে এনে দিবে শান্তির ঘুম।</p> <p>সূত্র : সাজগোজ</p>