<p>সন্ত্রাসী, মাদক কারবারি, দাগী আসামি ও অস্ত্রধারীদের আইনের আওতায় আনতে র‌্যাবের কোনো কার্পণ্য নেই বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে রাত-দিন অভিযান জোরদার রেখেছে র‌্যাব।’</p> <p>বুধবার (৩০ অক্টোবর) কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন।</p> <p>এ সময় তিনি বলেন, ‘র‌্যাব হচ্ছে এলিট ফোর্স। তাই এলিট তথা বড় বড় অপরাধ ও দাগী অপরাধীদের বিরুদ্ধে কাজ করে র‌্যাব। এ কারণে ছোট ছোট অনেক অপরাধ নিরোধে সময় দিতে পারে না।’</p> <p>র‌্যাব অধিনায়ক বলেন, ‘কক্সবাজার জেলায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান জোরদার রাখা হয়েছে। অভিযানে স্পর্শকাতর ও দাগী অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। এর অংশ হিসেবে গত এক বছরে প্রায় আড়াই শ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে র‌্যাব-১৫। এসব অস্ত্র উদ্ধারের সঙ্গে বহু অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে।’</p> <p>সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘সীমান্তকেন্দ্রিক মাদক ও অস্ত্রসহ অন্যান্য চোরাচালান রোধ র‌্যাবের বাধ্যবাধকতায় নেই। তার পরও অস্ত্র ও বড় বড় মাদক চোরাচালান রোধ করতে র‌্যাবের বড় সাফল্য রয়েছে। সীমান্ত পার হওয়ার পর র‌্যাবের চৌকস গোয়েন্দাদের নজরদারিতে বহু মাদক ও অস্ত্রের চোরাচালান জব্দ করেছে র‌্যাব। এসব ঘটনায় জড়িত অনেক অপরাধীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’</p> <p>র‌্যাব অধিনায়ক বলেন, ‘কক্সবাজারের সামগ্রিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আমাদের কোনো অবহেলা নেই। তবে জনসাধারণেরও দায়িত্ববোধ রাখতে হবে। র‌্যাবকে তথ্য দেওয়াসহ নানাভাবে সহযোগিতা করতে, জনগণের সহযোগিতা পেলে আমরা আমাদের কাজে গতি বৃদ্ধি পায়।’ </p> <p>কক্সবাজার প্রেস ক্লাব সভাপতি মাহবুবর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দীন বাহারীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময়সভায় বক্তব্য দেন সিনিয়র সাংবাদিক এস এম আমিনুল হক চৌধুরী, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সভাপতি জি এ এম আশেক উল্লাহ, আবু সিদ্দিক ওসমানী, শামসুল হক শারেক প্রমুখ।</p>